আমার দেখা রাশিয়া
করছে। এদের নাগরিক জীবনে রুশ সংস্কৃতির দু’শো বছরের ছাপ সুস্পষ্ট। মেয়ে পুরুষ সকলেরই পোষাকে ইয়োরোপীয় ঢং। তবে পুরুষেরা আলখেল্লা ও টুপী ছাড়েনি, মেয়েরাও সোনারূপো ও মূল্যবান পাথরের ঝালর দেওয়া টুপী পরে, দু’পাশে লম্বা বেণী দুলিয়ে দেয়, চোখে দেয় কাজল ও সুর্মা, অলঙ্কারেরও প্রাচুর্য আছে।
পঁচিশ বৎসর পূর্বে যে সব মেয়ে অন্তঃপুরে ছিল দাসী বাঁদি হয়ে কিম্বা কোন বেগের বহু পত্নীর অন্যতমা, নয়া সমাজব্যবস্থায় শিক্ষার প্রসারে তাদের সহজ সচ্ছন্দ মুক্তি দেখলে চমক লাগে। জড়প্রথার দাসত্বে অভিভূত সনাতন প্রাচ্যের অবগুণ্ঠিত জীবনের এই অসঙ্কোচ আত্মপ্রকাশ দেখতে পাওয়া এক দুর্লভ সৌভাগ্য। উজবেক মেয়েরা কলকারখানায় কাজ করছে, ট্রাম বাস চালাচ্ছে, সরকারী কার্যালয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রঙ্গমঞ্চে সর্বত্র যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছে। কৃষিবিজ্ঞানী চিকিৎসক ইঞ্জিনিয়র বৈজ্ঞানিক লেখিকা গায়িকা নর্তকীর সংখ্যা মেয়েদের মধ্যে কম নয়।
উজবেক রিপাবলিকের ডেপুটি প্রেসিডেণ্ট নারী। একদিন তাঁর দপ্তরখানায় আমাদের চা-পানের আমন্ত্রণ হ’ল। গিয়ে দেখি প্রতিনিধিস্থানীয়া কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন। শুনলাম সুপ্রীম সোবিয়েতের মহিলা সদস্য তেরজন, উজবেক পার্লামেণ্টের মহিলা সদস্য একশ’জন। শাখা মোবিয়েত মণ্ডলীতে নারী সদস্য চৌদ্দ হাজার। এখানকার ৪৭ হাজার শিক্ষক অধ্যাপকের মধ্যে ১৯ হাজার নারী, মহিলা ডাক্তার চার শ’। মাত্র পঁচিশ বছরে
১৪৯