আমার দেখা রাশিয়া
মধ্যযুগীয় বর্বর সামাজিক ব্যবস্থায় অধিকারবঞ্চিতা নারীরা চারশতাব্দী অতিক্রম করে বিংশ শতাব্দীতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
গৃহকর্মের সঙ্কীর্ণ পরিবেশের মধ্যে স্বামী পুত্র আত্মীয়বর্গের সেবা এবং অকল্যাণের ভয়ে বার ব্রত পালন দেবতার কাছে মানত করা এই নিয়ে যখন ছিল মেয়েদের জীবন, যখন পুরুষ রচিত শাস্ত্রবিধির বন্ধনের কড়াকড়ি ছিল কঠোর, তখনো গৃহকর্মের গণ্ডি কেটে অনেক নারী নিজেদের প্রতাপ ও প্রতিভা বিস্তার করেছেন, সব দেশের ইতিহাসেই তার নজীর আছে। ইতিহাসে ধন্যা এই সব মহিয়সী নারীদের নিয়ে আমরাও গর্ব করে থাকি। পুরুষ সমাজের বিরুদ্ধতাকে অতিক্রম করে কি সামাজিক অবস্থায় তাঁরা স্বকীয় চেষ্টায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তা আলোচনা করলে বোঝা যাবে ওটা নিয়ম নয়, ব্যতিক্রম।
নব্য ইয়োরোপের স্ত্রী-শিক্ষা স্ত্রী-স্বাধীনতার আন্দোলনের তরঙ্গে প্রাচ্যও আন্দোলিত হয়েছিল। বিগত শতাব্দীতে বাঙ্গলাদেশে সুরুতে রক্ষণশীল ও সংস্কারকদের বাদানুবাদের দীর্ঘ ইতিহাস আলোচনা করতে চাইনে। পরিবর্তন হয়েছে প্রচুর, সমাজের বিরুদ্ধতার জোর কমে গেছে। ধর্মের নামে যে সব অনুশাসন মেয়েদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তার বন্ধন থেকে সমাজের শিক্ষিত স্বচ্ছল স্তরে নারীরা কিছুটা মুক্তি পেলেও সমাজের সর্বস্তরে তার প্রভাব পরিব্যাপ্ত হয়নি। আমাদের দেশের অধিকাংশ পুরুষ এমন কি শিক্ষিতবর্গের মনেও এই ধারণা রয়েছে যে কোন অবস্থাতেই মেয়েদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত নয়,
১৫০