আমার দেখা রাশিয়া
তাতে পারিবারিক জীবন হবে অশান্তিময়, সমাজে বাড়বে উশৃঙ্খলতা। যে বিধিনিষেধ পুরুষ মানে না, যে আচার তারা পালন করে না, মেয়েদের বেলায় তারই কড়াকড়ি। মেয়েদের আমরা স্বাধীনতা দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থাও করেছি কিন্তু তা আধুনিক সভ্যতার প্রতি ভদ্র দায়িত্ববোধের চক্ষুলজ্জায় কতক যন্ত্রযুগের অর্থ নৈতিক বিপর্যয়ে নিরুপায় হয়ে। মনটা রয়েছে মনু পরাশর জীমূতবাহনের যুগে।
রামমোহনের যুগে বিধবাদের স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারবার অনুকূলে সমাজপতিরা এই যুক্তি দিয়েছিলেন যে, বিধবারা ব্যাভিচারিণী হয়ে ধর্মহানি ঘটাবে। বিদ্যাসাগরের বিধবা বিবাহ প্রস্তাবের বিরোধীতায় শাস্ত্রবাক্যের কুযুক্তির সঙ্গে বড় বড় ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এ অধিকার দিলে নারীরা স্বামীদের বিষ দিয়ে হত্যা করে মনোমত পতি অন্বেষণ করবে। এর একশ’ বছর পরে “হিন্দু কোড” বিলের বিরুদ্ধে দেবীরূপিণী ভারত-নারীর প্রতি শ্রদ্ধাসম্পন্ন ভারত সন্তানগণ তারস্বরে চীৎকার করে বলছেন, মেয়েরা সম্পত্তির অধিকার পেলে দেশশুদ্ধ নারী স্বৈরিণী হয়ে যাবে, আর বিবাহ বিচ্ছেদ আইনসঙ্গত হলে বউ নিয়ে ঘর করা চলবে না। মেয়েরা মনুষ্যোচিত স্বাধিকার বিসর্জন দিয়ে অন্ধ সংস্কারের মধ্যে মুগ্ধা হয়ে থাকুক, এই নির্বোধ প্রত্যাশা যাদের, তাদের যুগধর্মের নিয়মে পরাভব মানতেই হবে।
পুরুষ রচিত বিধিব্যবস্থায় আমাদের দেশের অন্তঃপুরিকারা অপমান বোধহীন ভয়ত্রস্ত নিরানন্দ জীবন যাপন করতেন। এক
১৫১