আমার দেখা রাশিয়া
করার কাজে হাত দেয়া হয়েছে। এই নদী প্রথমে উত্তর পশ্চিম খাতে চলতে চলতে বোখারার কাছে এসে খাড়া উত্তর মুখো হয়ে আরল সাগরে পড়েছে। পাঁচশ’ বছর আগে পশ্চিমমুখো গিয়ে কাস্পিয়ান সাগরে পড়তো— তার শুকনো খাদ এখনও রয়েছে। নদীকে আবার যদি এই খাতে আনা যায় তাহলে কাস্পিয়ান সাগরের উন্নতি হবে; আর বিস্তীর্ণ অঞ্চল শস্যশালিনী হয়ে উঠবে। এই সঙ্কল্পের ফল তুর্কোমান কেনাল— ৫০০-৬০০ মাইল লম্বা। শেষ হবে ১৯৫৬ সালে। আমি যেমন সহজে লিখছি ব্যাপারটা অত সোজা নয়। মাটির উঁচু নীচু, চারপাশের ঘাস লতা পাতা গাছ, বৃষ্টির জলের ঢলের স্বাভাবিক গতি প্রভৃতি নিয়ে গবেষণা করে তত্ত্ব ও তথ্য সংগ্রহ করে, বাঁধ দিয়ে জলকে উঁচু করে নূতন খাতে বইয়ে দেওয়া হবে, তার মাঝে মাঝে বসবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গড়ে উঠবে নূতন জনপদ ও নগরী।
গাছের ঘনপ্রাচীর দিয়ে খালগুলি রক্ষা করার ব্যবস্থা পথে যেতে যেতে দেখলাম। খালের ধারে নূতন বসতিও চোখে পড়লো। অসমতল উষর মাটির ঢেউএর নামি কোলে কাপাসের ক্ষেত, গমের চাষ ফলের বাগানও আছে। এইবার আমাদের গাড়ী বড় সড়ক ছেড়ে মেঠো রাস্তায় পড়লো, যেমন রৌদ্রের তাপ তেমনি ধূলো, “ধূলায় ধূসর নন্দকিশোর” হয়ে আমরা গ্রামে প্রবেশ করলাম। পথের ওপর অপেক্ষা করছিল তরুণ তরুণীরা শিঙে বাজিয়ে আমাদের অভ্যর্থনা করা হ’ল। তারপর শুরু হ’ল নৃত্যগীত। উৎসব ভূষণে সজ্জিতা তরুণীদের লোক সঙ্গীত ও
১৫৮