আমার দেখা রাশিয়া
গ্রামের কেন্দ্রস্থলে প্রমোদভবন, সমবায় দোকান ও শস্য ভাণ্ডার। পাশে একটি নূতন সংস্কৃতিভবন তৈরী হচ্ছে। দোকানে রেশম পশম ও সূতি কাপড়, নানা রকমের মনোহারী ও প্রসাধন দ্রব্য, তৈজসপত্র রয়েছে। ফরাসী সুগন্ধীও আছে। কৃষকদের স্বচ্ছলতা ও ক্রয়ক্ষমতার আভাস পাওয়া গেল। আমাদের দেশের শতকরা নব্বুই জন কৃষক পরিবার যে সব জিনিষ কিনবার কল্পনাও করতে পারে না, এরা তা নিত্য ব্যবহার করে। এদের সমবায় গোলায় সঞ্চিত গমের রাশি দেখে অবাক হলাম। গোলার কর্তা বল্লেন, প্রত্যেক পরিবার গড়ে দু’টন শস্য বছরে পায়। অনেকেই পুরোটা নেয় না, তাই এত বাড়তি শস্য জমে গেছে। এই বাড়তি গম হিসেব করে আমরা সহরের শ্রমিক ইউনিয়নের কাছে বেচে দেই। এই সমবায় কৃষিক্ষেত্রে গুটিপোকার চাষের প্রচলন আছে, কুটির শিল্প হিসেবে উৎকৃষ্ট রেশমী বস্ত্র তৈরী হয়।
গ্রাম পরিক্রমার সময় লক্ষ্য করলাম, এরা সকলেই উজবেক নয়। তাজিক কাজাক তুর্কোমান এমন কি কয়েকঘর রুশ কৃষক ও আছে। এদের গোষ্ঠীগত আচার প্রথা ও বসনভূষণের বৈশিষ্ট্য দেখলেই বোঝা যায়। গ্রামের পূবদিকে উদ্যান, তার একদিকে একটা ছোটখাটো বাড়ীতে পুস্তকাগার ও খেলাধূলার সরঞ্জাম। একটু দূরে তারই পাশে চেনার গাছের সার দেওয়া খালে কল্ কল্ করে জল চলেছে, তুলোর ক্ষেতে। এ খালের ধারে বিরাট ভোজ সভা বসলো। গ্রামের মাতব্বর নরনারীরা এসেছেন। প্রাচ্যের
১৬০