এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার দেখা রাশিয়া
নিজেদের মনেও কোন স্পষ্ট ধারণা আছে কিনা সন্দেহ! যে দেশে শতকরা আশীজনের জীবন যাত্রার মানদণ্ড এত নীচু যে সহজাত প্রবৃত্তির আবেগে চালিত জীবনযাত্রা নির্বাহ ছাড়া আর কিছু তারা ভাবতেই পারে না, সেখানে সুপ্রাচীন সভ্যতার উত্তরাধিকারী হয়েও, জাতীয় সংস্কৃতির প্রতি লোকসাধারণের অনুরাগ সম্ভবই নয়। উজবেকদেরও ছিল সেই দশা। কৃষি, পশুপালন ও কুটিরশিল্পের একটা সনাতন ধারা অনুসরণ করে কায়ক্লেশে টিকে থাকার মধ্যে সংস্কৃতির বিলাসিতা চলে না। আজ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এসেছে কলকারখানা, বৈজ্ঞানিক প্রথায় জলসেচ ও কৃষি ব্যবস্থা। মানুষ স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছে বলেই সাহিত্য সঙ্গীত নৃত্যকলা নূতন প্রাণের প্রাচুর্যে ভরে উঠেছে। এখানকার সংস্কৃতির সম্পদ শ্রেণীবিশেষের মধ্যে আবদ্ধ নয়। যা সর্বমানবের সম্পদ, তা লোকসাধারণ জল হাওয়ার মতই সহজে উপভোগ করছে।
১৬৯