আমার দেখা রাশিয়া
আলোচনার পথ জোর করে কোথাও অবরুদ্ধ করা হয়নি। যেখানে শিক্ষার ব্যাপ্তি ও বিস্তার অবাধ সেখানে চিন্তার বহুমুখী গতিকে ঠেকান যায় না। তা এরা করেনি, করছে না বলেই জীবনের স্বচ্ছন্দ বিকাশ এখানে সহজ হয়ে উঠেছে।
একজন বলে উঠলেন, সমস্ত ধনতন্ত্রী জগতের বিরুদ্ধতায় বেষ্টিত হয়ে যে বৈপ্লবিক আবেগে এরা সমাজতন্ত্র থেকে কমিউনিজমের পথে যাত্রা করেছে তা যখন সিদ্ধিলাভ করবে তখন এই বৈপ্লবিক আবেগ শিথিল হয়ে যাবে। তারপর আজকের এই নিবিড় ঐক্য যাবে ভেঙ্গে আবার শ্রেণীভেদ সমাজে মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠ্বে।
পশ্চিমা মানবহিতৈষীরা এই ভরসা নিয়েই আছেন। ভাবীকালের এই কাল্পনিক চেহারা নিয়ে তর্ক করা চলে না। ধর্ম আর তার অনুশাসন দিয়ে মানুষকে বেঁধে রাখতে তিন হাজার বছর কম বীভৎস চেষ্টা হয় নি। কিন্তু যুক্তিপন্থী বিজ্ঞান সে মোহ ভেঙ্গে দিয়ে মানুষের মুক্তিকে সম্ভব করেছে। এই বিজ্ঞানের সাধনাকেই সোবিয়েত গ্রহণ করেছে, ধর্মমূঢ়তার স্থানে আর এক যুক্তিহীন মূঢ়তাকে তারা প্রশ্রয় দিচ্ছে, মনে এমনতর সন্দেহ জাগবার কোন কিছু আমার চোখে পড়েনি। ব্যক্তিগত স্বার্থের ভিত্তির ওপর গড়ে ওঠা সভ্যতার আওতায় আমাদের চিন্তাধারা ও লোকব্যবহার যে ছাঁচে ঢালাই হয়ে আছে তাই দিয়ে যখন অপরকে বিচার করি, তখন দৃষ্টি ঘোলাটে হবার সম্ভাবনা পদে পদে। সমবায় প্রথায় খাদ্য পণ্য সমৃদ্ধি ও সংস্কৃতি সৃষ্টিতে
১৭১