আমার দেখা রাশিয়া
আটশ’ বছরের ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস এখানে ছবি নক্সা মানচিত্র নানা মডেলে স্তরে স্তরে সুবিন্যস্ত। সমাজতান্ত্রিক আমলে পুরাতন মস্কৌ কি ভাবে বদলাচ্ছে ও বদলাবে তার বড় বড় ইমারতের খসড়া ও নমুনা। কেবল পাদদেশে পরিচয় লেখা বস্তুপুঞ্জের সমাবেশ নয়। প্রত্যেক ঘরে সব বিষয় বুঝিয়ে দেবার জন্য উপদেষ্টা আছে। দেখলাম, দর্শকদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী। এরা রাজধানীর সমস্ত পরিচয় জানছে বুঝছে ভবিষ্যতের গঠনের কথা শুনছে। আমাদের ‘সবে ধন নীলমণি’ কলকাতার যাদুঘরে এমন ব্যবস্থা নেই। লোকে ভীড় করে দেখে যায়, লোক-সাধারণ বুঝলো কি না বুঝলো তা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেছে এমন কথা শুনিনি। এখানে সোবিয়েত রাশিয়ার গর্ব ও গৌরবের ‘মস্কো-মেট্রো’ বা ভূগর্ভ রেল-লাইনের পরিকল্পনা দেখলাম। কতটা হয়েছে, কতটা প্রসারিত হবে, কি ভাবে কাজ এগুচ্ছে, নানা রং-এর আলোক সম্পাত করে তা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হ’ল। বড় বড় বাড়ি কি ভাবে অক্ষত অবস্থায় ইচ্ছামত সরিয়ে নেওয়া হয়, সেই যন্ত্রের একটা মডেল দেখলাম। ইঞ্জিনিয়রিং বিদ্যায় এরা কোন দেশ থেকে পিছিয়ে নেই। এদের মস্কৌ-ভল্গা কেনাল, মরুভূমিতে খাল কেটে সেচ-ব্যবস্থা, মেট্রো বা ভূগর্ভস্থ রেলপথ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্রগুলি সোবিয়েতের তরুণ ইঞ্জিনিয়রদের সৃজনীপ্রতিভার সাফল্যের পরিচয় দিচ্ছে।
যে প্রশস্ত রাস্তাটি ‘রেড স্কোয়ার’ থেকে বেরিয়ে ‘হোটেল ন্যাশনালের’ গা ঘেঁষে পশ্চিমমুখো চলে গেছে, তার নাম গর্কী
১৬