আমার দেখা রাশিয়া
কাটিয়েছেন। চীনের কমিউনিস্টদের অনেক গল্প বললেন। ভারতেরও অনেক খবর রাখেন। চীনে জনগণের দারিদ্র্য, রক্ষণশীলতা আর চিরাগত অভ্যাসের মূঢ়তা কেমন ভাবে বদলাচ্ছে, সেই কথা বলতে বলতে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা তো আত্মকর্তৃত্ব পেয়েছ, তোমরা পারছো না কেন? আমাদের কি দারিদ্র্য ও দুঃখ ছিল, তা আমি নিজেই ভোগ করেছি। এখন যা দেখছো, এ তো আমাদেরও স্বপ্নের অগোচর ছিল।’ আমরা যে কেন পারি নে, সে অক্ষমতা আমাদের স্বভাবের মধ্যে পাকা আসন পেতেছে। জড়প্রথার দাসত্ব করতে করতে আমরা দৈব ও পরের ইচ্ছায় চালিত হই। এটা এই বিদেশিনীকে কেমন করে বোঝাই। দেড়শ’ বছরের ইংরেজ শাসন আমাদের সর্বরিক্ত দারিদ্র্যের মধ্যে, পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ-অবিশ্বাসের মধ্যে পঙ্গু করে ফেলে রেখে গেছে। ইংরেজের পরিত্যক্ত ব্যবস্থা আমরা বদলাতে পারিনি, সে সাহসও পাই নে। আত্মকর্তৃত্ব লাভ আমাদের ভাগ্যে ফাঁকিই রয়ে গেল। মুখে বলি, ‘বিপ্লবের পর লেনিন-স্তালিনের পার্টির নেতৃত্ব মেনে নিয়ে তোমরা প্রাচীন বাঁধনগুলো ছিড়ে ফেলতে পেরেছ বলেই তোমাদের সমাজের সর্বস্তরে এমন মুক্তির হাওয়া বইছে।’ রুবী সচকিত হয়ে বললেন, ‘সর্বস্তর বলতে তুমি কি বোঝ? আমাদের সমাজে শ্রেণী নেই। শ্রেণীভেদ আমরা লুপ্ত করেছি। আমাদের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণীর অস্তিত্ব সম্ভবপর নয়। ফলে সমাজের জ্ঞান বিদ্যা ঐশ্বর্য, একটা অংশে সঞ্চিত না হয়ে তা সকলের সম্পদ হয়েছে। মানুষের মধ্যে জাতিগত বা
১৯