আমার দেখা রাশিয়া
রাস্তার ফুটপাতে সরবত ও আইসক্রীমের দোকান। ছেলে-বুড়ো সকলেই রাস্তায় আইসক্রীম বা “মারোজনা” চিবুতে চিবুতে যাচ্ছে। দাম কম নয়, ৭৫ কোপেক থেকে দেড় রুবল। এ কথাটা মনে পড়লো একটা বিশেষ কারণে। রাশিয়া থেকে ফিরবার পথে কয়েক দিন রোমে ছিলাম। এখানে আমেরিকানরা ইংরেজীতে দৈনিক “রোম আমেরিকান” নামে একখানা কাগজ বার করে। এক দিন দেখি, ঐ কাগজে লিখেছে, বার্লিন যুব-উৎসবে যোগদানকারী দেড় হাজার রুশ যুবক-যুবতী পুলিশ-কর্ডন ভেঙ্গে ইঙ্গ-মার্কিন এলাকায় প্রবেশ করে। ওরা পেটুকের মত আইসক্রীম খেতে লাগলো। এ জিনিষ ওরা জীবনে কখনও খায়নি। রাশিয়ানদের সম্বন্ধে এমন আজগুবী গল্প বললে, বিশ্বাস করার লোকের অভাব হয় না! খাবার ওদেশে প্রচুর ও সস্তা। ওদেশে ভেজিটেবল ঘি বা মার্গারিন নেই। কৃত্রিম স্নেহ-পদার্থ ওদেশে আইনতঃ নিষিদ্ধ।
দলবদ্ধ হয়ে দোভাষী সঙ্গে নিয়ে লাইব্রেরী, ম্যুজিয়ম, কারখানা প্রভৃতি দেখার সুবিধে আছে, এ ছাড়া অল্প সময়ে অনেক জিনিষ দেখাই কঠিন। মোটরে পথের দু’ধারে যা দেখি, তার পরিচয় রুশ-সঙ্গী না থাকলে অজ্ঞাতই থেকে যায়, তবুও মাঝে মাঝে আমি মস্কোর রাস্তায় একা বেড়িয়ে পড়তাম। আমাদের ভ্রমণ-তালিকা সুরু হত ১০টায় প্রাতরাশের পর। প্রভাতে অনেকটা সময় পেতাম। সুযোগ পেলেই ৩।৪ মাইল চক্কর দিয়ে আসতাম। দোকান-পশার আর জনতা দেখতাম, কথা বলার কোন সুবিধাই
৩১