আমার দেখা রাশিয়া
ধরে বলতে শুনেছি, “আমার জন্য তোরা চাঁদার খাতা খুলিসনি। হয়তো ২৭৷৷৴০ আনা চাঁদা উঠবে, সে তো মরণাধিক অপমান।” পরিণত বয়সে কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যকেও নিদারুণ যক্ষ্মা রোগে প্রায় অচিকিৎসায় মারা যেতে দেখলাম। রাগ বা অভিমান করে এ সব কথা বলছিনে, যে পাটোয়ারী বুদ্ধি, সাহিত্যিক লেখকদের অপমান করে বঞ্চনা করে, কটূভাষী সাহিত্যিক ভাড়াটে গুণ্ডা লেলিয়ে দিয়ে পরিবাদ রটনা করে, তাদের আমি অভিশাপ দেবো না। যে সমাজের মধ্যে জন্মেছি, তার মূঢ়তাকে ক্ষমা করবো; কিন্তু দেশের সাহিত্যসেবকদের বেদনা ও অপচয় তো ভুলে থাকতে পারিনে। ভাবি, সিনেমার ছবির চটকদার খেলো ও ক্ষণিক উন্মাদনা আর রেডিও যন্ত্রের সঙ্গীতের নামে রাসভ নিনাদ তার স্থূল রুচি নিয়ে বর্তমানকে আচ্ছন্ন করে রাখবে, এই কি আমাদের বিধিলিপি!
সোবিয়েত রাশিয়ার অবস্থা স্বতন্ত্র। এখানে সাহিত্যিক লেখক সাংবাদিকদের প্রচুর উপার্জন ও প্রভূত সম্মান। দেশের সাংস্কৃতিক জীবনের মানদণ্ড উন্নত করবার ভার যাঁদের হাতে, তাঁরা যাতে নিরুদ্বেগ স্বচ্ছল জীবন যাপন করতে পারেন, সেদিকে সোবিয়েত রাষ্ট্র ও সমাজ অবহিত। অন্যান্য বৃত্তিজীবী শ্রমিকদের মত এঁদের সঙ্ঘ বা ইউনিয়ন আছে। সঙ্ঘবদ্ধভাবে এঁরা অবশ্য ফরমাইসী সাহিত্য সৃষ্টি করেন না, তবে লেখকদের বৃত্তিগত স্বার্থ ও অধিকার রক্ষা করেন। এখানে বুভুক্ষু লেখকদের সংবাদপত্রের মালিক বা প্রকাশকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় না। বিভিন্ন শ্রেণীর
৪৫