আমার দেখা রাশিয়া
বলবেন যে, সোবিয়েতের লেখকেরা মানবমৈত্রী ও বিশ্বশান্তিতে বিশ্বাসী। মুনাফাশিকারীদের লোভের দ্বারা কলুষিত রাষ্ট্রনীতি বহু মানবের দুর্গতির প্রতি অন্ধ হয়ে আর একটা যুদ্ধের ষড়যন্ত্র পাকিয়ে তুলছে, ভারতের প্রগতিশীল লেখকেরা তার বিরুদ্ধে জনমত সজাগ করে তুলুন। আমরা যখন উত্তরে বলেছি, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে আমাদের আত্মকর্তৃত্ব ছিল না, ছিল বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী স্বৈরশাসনের প্রতি প্রবল বিতৃষ্ণা। তবুও রবীন্দ্রনাথের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা ফাসিস্ত বর্বরতার বিরুদ্ধে জনমত সজাগ করেছি, ফাসিজমের নিদারুণ বলদৃপ্ত পরের অধিকার লঙ্ঘনের নির্লজ্জ পাশবিকতা থেকে আপনারা কেবল আত্মরক্ষা করেননি, ইয়োরোপ তথা মানব-সভ্যতাকে বহু ত্যাগস্বীকারে রক্ষা করেছেন; দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আঘাত-সংঘাতের মধ্য দিয়ে আমরা রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু আমাদের জীবন খর্ব, দারিদ্র্যে পীড়িত, শিক্ষায় বঞ্চিত; আমাদের লোকসাধারণের বৈষয়িক রিক্ততার মধ্যেও নৈতিক বল আছে, আজ অতলান্তিকের দুই তীর থেকে সভ্যতার প্রতি ভদ্রদায়িত্ববোধহীন যে বিদ্বেষ-বিষ উদগ্র মূর্তিতে আত্মপ্রকাশ করছে, তার অভিসন্ধি আমাদের অজানা নেই, আত্মপ্রকাশ করবার যে স্বাধীনতা বিংশ শতাব্দীর মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, ইঙ্গ-মার্কিন ষড়যন্ত্র তার কণ্ঠরোধ করতে উদ্যত হয়েছে; এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে আমরা আপনাদের সহযাত্রী, আমরাও শান্তি ও বিশ্বমানবের মিলনে বিশ্বাসী—তখনই প্রত্যেক সভায় সমর্থনসূচক করতালিধ্বনি উঠেছে। এশিয়ার প্রতি ভারতের
৫০