আমার দেখা রাশিয়া
করেন। এঁর দাসেরা মস্কোর উপকণ্ঠে যে বিশাল প্রাসাদ নির্মাণ করেছিল, নানা চিত্র ভাস্কর্য ও কারুকার্য দিয়ে সুষমামণ্ডিত করেছিল, তা আজ সোবিয়েত সরকার ম্যুজিয়মে পরিণত করেছেন। ইনি একজন রূপসী ও বিদুষী দাসীকে বিবাহ করেন। কিন্তু অতি ধনী হয়েও তাকে সামাজিক মর্যাদা দিতে পারেননি। ক্ষোভে ও অপমানে মহিলা আত্মহত্যা করেন। তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর শিল্পীদের জার গভর্নমেণ্ট সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত করেন। এত বড় অনাচার অভিজাত সমাজ সইতে পারলো না। আস্তানফিনো ভগ্নহৃদয়ে প্রাণত্যাগ করেন।
মস্কৌ-এর উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বিস্তীর্ণ বাগানের মধ্যে আস্তানফিনোর প্রাসাদ। সম্মুখে একটা হ্রদ, ছোট ছোট ডিঙ্গী নৌকা নিয়ে তরুণ-তরুণীরা বাইচ খেলায় মেতেছে। এক কোণে একটা বৃহৎ গীর্জা, অযত্নে পড়ে আছে। প্রাসাদের পাশে দোকান-পশার খাবার সরবৎ ও কুলপী বরফ। দলে দলে দর্শনার্থী নরনারীর ভীড়। আমরা পশমের জুতো পরে প্রাসাদে প্রবেশ করলাম। শক্ত জুতোর ঘষায় মেঝের কাঠের রকমারী নক্সা ক্ষয়ে না যায়, সেই জন্য এ ব্যবস্থা। এ প্রাসাদটি দাসেরাই তৈরী করেছে। কাঠের স্বাভাবিক নানা রং-এর টুকরো দিয়ে বিচিত্র নক্সায় মেঝেগুলোর অপরূপ শোভা, চিত্র ও ভাস্কর্যের কি সংগ্রহ! এই প্রাসাদ কত সুন্দর, তা হায়দ্রাবাদের ফলকনামা প্রাসাদ বা বরোদার রাজপ্রাসাদ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা কিছুটা অনুমান করতে পারবেন। ইয়োরোপের নানা দেশ থেকে সংগৃহীত বিচিত্র
৫৫