পাতা:আমার দেখা রাশিয়া - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার (১৯৫২).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আমার দেখা রাশিয়া

দেখলে মনে হয়, যেন ইংলণ্ডের কোন কাগজ পড়ছি।’ উত্তরে বলেছিলাম, ‘আমরা ভারতে ইংরেজ চালিত কাগজগুলোর আদর্শ অনুসরণ করি, তারা যে শ্রেণীর সংবাদকে প্রাধান্য দেয়, সেগুলোকে তেমনি ভাবে ফলাও না করতে পারলে, ইংরেজীনবীশ ভারতীয়রা দেশী কাগজ ছোঁবেও না। দ্বিতীর কারণ, সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনে আমাদের কোন জাতীয় প্রতিষ্ঠান নেই। সংবাদের একচেটিয়া কারবারী ‘রয়েটার’ই আমাদের একমাত্র সম্বল।’ অবশ্য এখন অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।

 এক জন জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেমন, সে সম্বন্ধে কিছু বল।’

 উত্তরে আমাদের এক জন বললেন, ‘আমাদের দেশের নয়া শাসনতন্ত্রে সংবাদপত্রে স্বাধীন মত প্রকাশের মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়নি। প্রেসকে সংযত রাখবার জন্য আইনও আছে। তবু আমরা সরকারী ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনায় যথেষ্ট স্বাধীনতা পেয়ে থাকি।’ আমি বললাম, ‘আমাদের দেশের অধিকাংশ বড় বড় দৈনিক কাগজ মালিকানা স্বার্থে চালিত হয়। কায়েমী স্বার্থের সমর্থক এই সব কাগজের বড় বেশী স্বাধীনতার দরকার হয় না। কেন না, এদের কোন নির্দিষ্ট মতবাদ নেই। সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকাতেই প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের সুবিধে আছে। কায়েমী স্বার্থের বিরুদ্ধে কৃষক শ্রমিক এবং নিম্নমধ্যশ্রেণীর দাবী সমর্থন করে, এমন দু’চারখানা কাগজও আছে। অন্যান্য ধনতন্ত্রী দেশের মতই আমাদের দেশে

৬৪