পাতা:আমার দেখা রাশিয়া - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার (১৯৫২).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আমার দেখা রাশিয়া

চিন্তা ও সমালোচনা করার অধিকার কতটুকু? এ বিষয়ে প্রশ্ন করে কোন সদুত্তর পেয়েছেন কি? অকপটে স্বীকার করছি, এমন প্রশ্ন আমি করিনি। কেন না পাল্টা প্রশ্ন করলে, জবাব দিতে বিব্রত হতে হত। আমার নিজের দেশে স্বাধীন মত প্রকাশ করতে হ’লে কি মূল্য দিতে হয় তা আমি জানি। প্রত্যেক বৃহৎ সংবাদপত্রে তার মালিক এবং মালিকের পৃষ্ঠপোষক ধনী ও রাজনীতিক ক্ষমতাচক্রের অধিপতিদের মতামত প্রতিফলিত হয়, সম্পাদক যদি ‘বিবেকে’র দোহাই দিয়ে ভিন্ন মত অবলম্বন করেন তবে নির্ঘাত তার অন্ন মারা যাবে এবং তার আপীল করবার মত কোন দরবার নেই। এ নিয়ে আলোচনা বাড়িয়ে পাঁক ঘুলিয়ে না তোলাই ভালো।

 রাশিয়ার সাংবাদিকেরা তাঁদের বৃত্তির নিরাপত্তা ও উপার্জন এবং অপটু হয়ে পড়লে নিরাশ্রয় হয়ে অনাহারে না মরা সম্বন্ধে যেমন নিশ্চিন্ত তেমন নিরাপত্তা কিছুটা ইয়োরোপ ও আমেরিকাতেও আছে। সঙ্ঘবদ্ধ সাংবাদিক-সঙ্ঘ মালিকদের স্বেচ্ছাচার সংযত করেছেন, বৃত্তিগত নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের দেশের মালিকেরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছেন তাঁদের ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষার জন্য। গত ১০।১২ বছরে এঁরা সাংবাদিকদের বৃত্তিগত নিরাপত্তার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন গ্রহণ করেননি। কোন কোন কাগজের প্রভিডেণ্ট ফাণ্ড আছে, ব্যক্তিগত ভাবে কোন মালিক দয়া-দাক্ষিণ্যও দেখিয়ে থাকেন, কিন্তু সেটা অনুগ্রহ মাত্র। সাংবাদিকদের তরফ থেকে গত ত্রিশ বৎসর অনেক খণ্ড ও বিক্ষিপ্ত

৬৬