আমার দেখা রাশিয়া
চেষ্টা বিফল হয়েছে। সাংবাদিকদের স্বার্থ ও বৃত্তিগত মর্যাদা রক্ষার পথে প্রধান অন্তরায়, শিক্ষিত শ্রেণীর বেকার সমস্যা যার সুযোগ নেবেন না, মালিকরা এত নির্বোধ নন।
এখানে দেখলাম, আমেরিকা বৃটেন অপেক্ষাও অধিক সংখ্যায় মেয়েরা সাংবাদিকতায় যোগ দিয়েছেন। ‘টাস’ ‘প্রাবদা’ কিম্বা অন্য কোন সংবাদ ও সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান থেকে যাঁরা আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন, তাঁদের অধিকাংশই নারী। আমাদের দেশ সম্বন্ধে এঁদের প্রশ্নের ধরন দেখে মনে হয়েছে, ভারত সম্বন্ধে এঁরা অনেক খোঁজ-খবর রাখেন। একজন জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের দেশে শিক্ষিতা মেয়েরা সাংবাদিক বৃত্তি গ্রহণ করে না কেন?’
বললাম সুযোগের অভাবে। অনেক বুদ্ধিমতী মেয়ের আগ্রহ দেখেছি, কিন্তু আমাদের দেশের খবরের কাগজের আপিসের পরিবেশ নানা কারণে মেয়েদের কাজ করার অনুকূল নয়, তার ওপর একটা সামাজিক রক্ষণশীলতাও আছে। আধুনিক শিক্ষিতা মেয়েরা অবশ্য নানা বৃত্তিতে এগিয়ে আসছেন। আমাদের দেশে সংবাদপত্রে নিয়মিত লেখিকা অনেক আছেন; কিন্তু এখনও এক জন মেয়েও পুরোপুরি বৃত্তিজীবী সাংবাদিক হন নি।
এ দেশের সংবাদপত্র আকারে আমাদের দেশের চেয়েও ছোট। চার পাতার বেশী দৈনিক কাগজ নেই। এদের কাগজে বিজ্ঞাপন নেই, কেন না ব্যবসাদারী প্রতিযোগিতা নেই। কাগজ বিক্রি করে যে আয় হয়, তাতেই ছাপাখানা ও কর্মীদের ব্যয় সঙ্কুলান করতে
৬৭