আমার দেখা রাশিয়া
যাঁরা প্যারী, লণ্ডন ও নিউইয়র্কের মেট্রো দেখেছেন, তাঁরাও এর রূপ ও সাজসজ্জার আড়ম্বর দেখে অবাক হয়ে গেলেন। আমরা পর পর পাঁচটি স্টেশন দেখলাম। প্রত্যেকটির গঠনভঙ্গী রূপসজ্জা স্বতন্ত্র। বিভিন্ন রিপাবলিকের কারুশিল্পের বৈশিষ্ট্য উরাল পর্বতের নানা রং-এর মর্মরের সমন্বয়ে ফুঠে উঠেছে, আলোকমালাও পৃথক ধরনের। গাড়িগুলিও সুন্দর। চামড়ার পুরু গদী, নিকেলের পালিশ-করা হাতল। স্টেশনে গাড়িতে যাত্রীদের এত আরামের ব্যবস্থা সমাজতান্ত্রিক সমাজেই সম্ভব। ১৯৩৫-এ প্রথম এর পত্তন হয়, যুদ্ধের সময়েও এর কাজ পুরোদমেই চলেছিল, এখনও চলছে, এর পরিধি প্রসারিত হচ্ছে। পৃথিবীতে এত বিরাট পরিকল্পনার ভিত্তিতে মানুষের অতুলনীয় সৃষ্টি আর কোথাও আছে বলে জানি নে।
মস্কৌ-এ আমি দু’বেলা ঘুরে ঘুরে দেখেছি। মন সর্বদা উৎসুক থাকে, কিন্তু দেহ বেঁকে বসে। এক দিন দেহ কবুল জবাব দিল। সকালে একটা রুটির কারখানায় গিয়েছিলাম। পাঁচতলা উঁচুতে আটা বা ময়দা কলে মাখা হচ্ছে, আর নানা প্রকার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধাপে-ধাপে একতলার কলের মুখ থেকে নানা আকারের ও মাপের রুটি বেরিয়ে আসছে। এর প্রত্যেক তলায় রাসায়নিক পরীক্ষাগার। প্রত্যেকবার নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, বিশুদ্ধ কি না? এখানে দৈনিক ২৮ টন রুটি তৈরী হয়। মানুষের খাদ্য সম্পর্কে কত সতর্কতা! ময়দা বা আটা গোলা থেকে তপ্ত রুটি তৈরী পর্যন্ত দেখে ও চেখে আমরা কারখানার ডিরেক্টরের ঘরে এসে
৭০