আমার দেখা রাশিয়া
ইংরেজী জানেন। তিনি খবরের কাগজে আমাদের কথা পড়েছেন। আমার জিজ্ঞাসার উত্তরে বললেন, এই শিশুহাসপাতালে ৭৫০টি শয্যা আছে। ২৮০ জন ডাক্তার ও ৬০০ নার্স। এরা অবশ্য সারাক্ষণের নয়। পালা করে কাজ করেন। এ ছাড়া প্রায় দু’শো পরিচারিকা আছে। আমি যে দেশের মানুষ, সে দেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম নগরী কলকাতাতেও এমন হাসপাতাল নেই। পূর্বে শুনেছিলাম, এ দেশের হাসপাতালের ব্যবস্থা আমেরিকার মত ধনী দেশের মতই, আজ তা স্বচক্ষে দেখলাম। বাগানে ছেলেমেয়েদের খেলার দোলনা প্রভৃতি। একটা বড় হল্-ঘরে নানা রকম পুতুল, ছবির বই। এখানেও বসে বসে খেলার নানা সরঞ্জাম আছে। দোতলায় সুন্দর খাটে পরিপাটি শুভ্র শয্যায় শিশুরোগীরা শুয়ে আছে। শুনলাম, সমগ্র সোবিয়েতে এই রকম শিশু হাসপাতালের সংখ্যা নয় হাজার। পাইয়োনীয়র্স ক্যাম্পে কিণ্ডারগার্টেনে এবং শিশু-পালনাগারে দেখেছি, ছোটদের মানুষ করে গড়ে তুলবার ব্যবস্থা। আর এখানে দেখলাম, রুগ্ন শিশুদের নিরাময় করে তুলবার নিরলস সেবা। কি শৃঙ্খলা কি দরদ কি কর্তব্যবোধ! সর্বত্র দেখেছি, এরা বলে, ‘আমাদের ছেলে-মেয়ে’, ‘আমার ছেলে-মেয়ে’ বলে না। এই প্রসঙ্গে জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসির একটি ঘটনা মনে পড়ছে। হোটেলের বারান্দায় বসে আছি। ফুটপাতে ছেলেমেয়েরা খেলা করছে। তিন-চার বছরের একটা ছেলে ‘আইসক্রীম’খেয়ে হাত-মুখ নোংরা করে পাশে দাঁড়িয়ে আছে, একটি সুবেশা যুবতী
৭৩