পাতা:আমার দেখা রাশিয়া - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার (১৯৫২).pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নয়

 ৬ই জুলাই রাত্রি ১২টায় আমরা ট্রেনে মস্কৌ থেকে লেনিনগ্রাদ যাত্রা করলাম। সকাল ছ’টায় বিছানা ছেড়ে সোফায় বসলাম। বোতাম টিপতেই ট্রেনের ‘ভ্যালেট’ এসে চা দিয়ে গেল। নির্মল কাঁচের জানলা দিয়ে দেখছি, ছোট বড় গ্রাম, সবুজ ক্ষেত, পাইন বার্চ পপলারের সমুন্নত তরুশ্রেণী পাহাড়ের গা ঘেঁষে রয়েছে, কোথাও বা বিস্তৃত হ্রদ। রেল লাইনের দু’ধারে মৌসুমী ফুলের সমারোহ, রৌদ্রে উজ্জ্বল। বেলা দশটায় লেনিনগ্রাদ স্টেশনে গাড়ি থামলে।, আমরা পৃথিবীর অন্যতম সেরা হোটেল আস্তোরিয়ায় এসে উঠলাম। জারের আমলে ইয়োরোপ আমেরিকার ধনীদের বিলাস ও প্রমোদ নিকেতনের বাসিন্দা বদলালেও অতীত বৈভব ম্লান হয়নি। প্রত্যেক কামরায় টেলিফোন রেডিয়ো বসবার ও শয়নগৃহ, স্নানাগার ঠাণ্ডা ও গরম জল। হোটেলে ৪টা ভোজনাগার বড় বড় বৈঠকখানা মূল্যবান আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো। এমন দিন ছিল, যখন এর এক সপ্তাহের বিলাসের খরচা জোগাতে আমাদের দেশের ছোটখাট জমিদারেরা ফতুর হয়ে যেতো। এর নৃত্যশালা একদিন বহু সম্রাজ্ঞী রাণী ও অভিজাত বিলাসিনীদের কলহাস্য ও চটুল নৃত্যে মুখরিত হত। রসিক ম্যানেজার সে সব কথা শোনালেন। গত যুদ্ধের সময় জার্মানরা যখন নগরের বিশ

৭৫