আমার দেখা রাশিয়া
বেরোবার পথ রোধ করে জেনারেল ডায়ার নিরস্ত্র আবালবৃদ্ধবনিতার ওপর অতর্কিকে গুলী বর্ষণ করে কয়েক হাজার লোককে হতাহত করেছিল।
১৯০৫ সালে অবিকল এমনি ঘটনাই ঘটেছিল। ঐতিহাসিক পটভূমিকার সঙ্গেও মিল আছে। ফরাসী বিপ্লব, রুশো ভলতেয়ারের ভাবধারায় অনুপ্রাণীত রুশ অভিজাত মহলে জাতীয়তাবাদ এবং নিয়মতান্ত্রিক গভর্নমেণ্ট প্রতিষ্ঠার জল্পনা কল্পনা অনেক আগেই সুরু হয়েছিল, এই আন্দোলন থেকেই গুপ্তহত্যাকারী নানা বিপ্লবীদলের সৃষ্টি হয়। বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় এই অসন্তোষ শ্রমিক কৃষকশ্রেণীতেও দেখা দিল। রুশ জাপান যুদ্ধে জারের পরাজয় ও সামরিক শক্তির বিপর্যয়ে এই অসন্তোষ সেণ্ট পিটার্সবুর্গের কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধর্মঘটে ব্যাপক হয়ে উঠলো। বিদ্রোহের আশঙ্কায় জারতন্ত্র বধ বন্ধন নির্বাসনের ভীতির রাজত্ব কায়েম করলো। কিন্তু এ-ও যথেষ্ট নয়। ছোটলোকের আস্পর্ধা অসহ্য। সমুচিত শিক্ষা দিতে হবে। পুলিশের বড়কর্তা এবং জারের কর্ণধার ট্রিপভ জাল পাতলো। ফাদার গাপেন নামে এক পাদ্রী ছিল পুলিশের গুপ্তচর এবং “কারখানা শ্রমিক পরিষদের” নেতা। এই গুপ্তচর গাপেন এক দরখাস্ত রচনা করে, ধর্মঘটি শ্রমিকদের বললো, চল শোভাযাত্রা করে জারের কাছে যাই। তিনি আমলাতান্ত্রিক জবরদস্তীর একটা বিহিত করবেন। দেড় লাখ শ্রমিক তার অনুগামী হ’ল। আবেদনপত্রের ভাষা দেখলেই বোঝা যায়, এ কোন বিপ্লবীর
৭৮