আমার দেখা রাশিয়া
এরাও ছিল রুশ-পুলিশের সাঙ্গাৎ। যৌবনে আমি এবং আমার বন্ধুরা অনেকেই গোয়েন্দা পুলিশের মোলায়েম ব্যবহারের স্বাদ পেয়েছেন। তফাৎ এই, সোবিয়েত গভর্নমেণ্ট তাদের ঝেঁটিয়ে বিদেয় করেছে, আর আমাদের গভর্নমেণ্ট সেই সব ক্ষণজন্মা মহাপুরুষদের প্রমোশন দিয়ে পুলিশ-বিভাগের চূড়োয় বসিয়ে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ বড় দুঃখেই বলেছিলেন, “যে লোক স্বার্থপর বেইমান, যে উদাসীন নিশ্চেষ্ট, বর্তমানের গুপ্ত ব্যবস্থায় তারই জীবনযাত্রা সব চেয়ে নিরাপদ তারই উন্নতি ও পুরস্কারের পথে সকলের চেয়ে বাধা অল্প।”
৮ই জুলাই রবিবার মেঘলা প্রভাত। বৃষ্টি মাথায় করে আমরা ‘স্মোলনী ইনস্টিটিউটে’ গেলাম। পূর্বে অভিজাত মেয়েদের আবাসিক বিদ্যালয় ছিল। ১৯১৭র বিপ্লবের অব্যবহিত পূর্বে বলশেভিকদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়। এই সদর দপ্তরখানা থেকে লেনিন ও স্তালিন বিদ্রোহী সৈন্যদের সংহত ও শৃঙ্খলিত করে, ৭ই নভেম্বর প্রায় বিনা রক্তপাতে পেট্রোগ্রাদ দখল করেন। ৭ই নভেম্বর রাত্রি ১০টা ৪৫ মিনিটে, ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে সোবিয়েত সোস্যালিস্ট গভর্নমেণ্ট আবির্ভূত হয়েছিল।
প্রকাণ্ড বাড়ী, অধিকাংশই এখন সামরিক দপ্তরখানা, চারদিকে কড়া পাহারা দোতালার কতকগুলো ঘর ম্যুজিয়ম, লেনিনের ছোট্ট শয়ন কক্ষ, সাধারণ খাট বিছানা বসবার চেয়ার। যে ঘরে সামরিক বৈঠক বসতো, তাতে অনেক ঐতিহাসিক দলিল ও ছবি আছে। এখানেই প্রথম বলশেভিক কংগ্রেসে লেনিন
৮৩