পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বোম্বাই প্রবাস & so কিছু ভূমিদানের নিয়ম বধিয়া দিয়াছিলেন তাহ ধর্ম্মক্ষেত্রে—মন্দির প্রতিষ্ঠা এবং দান ধর্ম্মের কার্য্যে নিয়োজিত হইত। বিষ্কাশিক্ষার উত্তেজনার জন্য দক্ষিণ দিবার নিয়ম ছিল । শিবাজীর রাজত্বকালে ংস্কৃতচর্চা বড় একটা ছিল না কিন্তু তাহার প্রবর্ত্তিত দক্ষিণাদি দানব্যবস্থার দরুণ ছাত্রগণ কাশী হইতে সংস্কৃত অধ্যয়ন কবির অসিত, এইরূপে দক্ষিণাত্যে ক্রমে সংস্কৃত শিক্ষার বিস্তার হইল। পেশওয়ারাও এই বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী ছিলেন। পঞ্চম । রাজস্ব আদায়ের সুব্যবস্থা রাজা প্রজার সাক্ষাৎ সম্বন্ধ, জমিদারের মধ্যবর্ত্তিত নাই, শিবাজীর এই নিয়ম ছিল। র্তাহার বিশ্বাস এই যে খাজনা আদায়ের কাজে মধ্যবর্ত্তী জমিদার নিয়োগ করা যত অনর্থের মূল। তাহার ফল এই হয় যে, জমিদার বেশীর ভাগ খাজনা আত্মসাৎ করে, সরকারী তহবিলে অল্পই আসে, এই হেতু তিনি জমিদারী প্রণালীর বিরোধী ছিলেন। তিনি যোগ্য বেতন দিয়া কমাবিলদার মহলকারী সুবেদার প্রভৃতি রেবেক্ষ্য কর্ম্মচারী রাখিতেন—রায়তদের বাহার যাহা দেয় তাহার জন্ত কবুলায়ং লওয়া হইত। ফসলের দ্বিতীয় পঞ্চম অংশ সরকারী খাজনার হার, অবশিষ্ট রায়তের নিজস্ব থাকিত। তথন আদালতের কাজ বেশী ছিল না—সুবেদার দেওয়ানী ফৌজদারী দুই কাজই করিতেন। তেমন কিছু বড় মকদম উপস্থিত হইলে পঞ্চারতের হাতে সমপিত হইত। ষষ্ঠ। রাজস্বের কণ্ট ক্ট বা ইজারা দেওয়া রহিত করা। রাজস্বের কণ্টাক্ট দিয়া জমিদার বা ইজারাদার নিয়োগ শিবাজীর নিয়ম বিরুদ্ধ ছিল। পেশওয়াই আমলেও এই নিয়ম অনেককাল পর্য্যন্ত রক্ষিত হইয়াছিল। শেষ বাজিরাওয়ের রাজ্যে যখন অরাজকতার একশেষ তখন ইহার ব্যতিক্রম ঘটিল। ইজারদারী নিয়মে রায়তের উপর অত্যাচারের সীমা রহিল না । ইজারদারের প্রজা নিপীড়ন করিয়া তাহার দ্যায্য দেনার উপর যতটা আদায় করিতে পারে সে চেষ্টার কোন ক্রটি করিত না । সপ্তম । সিবিল বিভাগের অধীনে সেনা বিভাগ রক্ষা করা। এরূপ করাই যুক্তিসঙ্গত, নহিলে সৈন্ত প্রতাপ রাজশক্তিকে অতিক্রম করিয়া উঠিয়া সর্ব্বেসর্ব্ব হইয় পড়ে। অষ্টম। জাতিনির্বিশেষে কর্ম্মবিভাগ। ব্রাহ্মণ প্রভু মারাঠা উচ্চনীচ বর্ণের সম্মিশ্রণে রাজকার্য্য পরিচালন কর। শিবাজীর নিয়ম ছিল ; যাহাতে কোন এক বিশেষ জাতির প্রাধান্ত নিবারিত হয়, স্বেচ্ছাচার উচ্ছঙ্খলতার প্রতিরোধ হয়, পরস্পরের একটা শাসন অক্ষুণ্ণ থাকিয় সুশৃঙ্খলভাবে কার্য্য নির্বাহ হয় তাহাই উদ্দেশ্য। শিবাজীর পরে এই নিয়মটা রক্ষিত হয় নাই। পেশওয়াই আমলে ব্রাহ্মণেরই আধিপত্য দেখা যায়। ३१