পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার লোম্বাই প্রবাস ミミむ উত্তর হিন্দুস্থানে কিয়ৎপরিমাণে শান্তি শৃঙ্খলা স্থাপনানন্তর মহাদাজী সিন্দে দক্ষিণভিমুখে প্রস্থান করিলেন। ১৭৯২ সালে তিনি পেশওয়ার হস্তে দিল্লীশ্বর-প্রদত্ত নূতন পদমর্য্যাদা প্রদান উপলক্ষে পুণায় পদার্পণ করেন। তখন পেশওয়া সওয়াই মাধবরাও । র্তাহার অভিষেক ক্রিয়া মহাসমারোহে সম্পন্ন হয় । পুণায় এমন ধুমধাম আর কখনো হয় নাই। প্রথমে পেশওয়ার “বাদসাহী উজীর” পদবী গ্রহণ। উৎসবের জন্ত সারি সারি তাম্বু পড়িয়ছে। প্রাস্তবর্ত্তী তাম্বুতে এক স্বর্ণ সিংহাসন প্রস্তুত, তৎসমীপে বাদসাহী সনন্দ, বসন ভূষণ উপহার সামগ্রী সকল বিরচিত । পেশওয়া সিংহাসনের সমক্ষে দাড়াইয় তিনবার সেলাম করিয়া শতৈক স্বর্ণ মোহর নজরাণ দিয়া বামপাশ্বে উপবিষ্ট হইলেন। পরে বাদসাহী পরওয়ানা পঠিত হইল। ইহার শেষ ভাগে হিন্দুস্থানে গোহত্য নিষেধস্থচক অনুজ্ঞা ছিল তাহা শ্রবণ মাত্র সভাসদজনের উল্লাসের আর সীমা রহিল না। তৎপরে আড়ালে গিয়া অভিষেক বসন ভূষণ পরিধান করিয়া দরবারে পেশওয়ার পুনঃ প্রবেশ, সভাস্থ সর্দারের অভিবাদন ও দস্তুর মত নজরদান। অনন্তর তিনি দিল্লীশ্বর প্রেরিত অশ্ব রথ গজ, ঢাল তলবার, বসন ভূষণ, চামর নিশান প্রভৃতি বিবিধ উপহার সামগ্রী গ্রহণ করিলেন। সভাভঙ্গ করিয়া পেশওয়া যখন সহরে প্রবেশ করেন, তখন সমস্ত পথ লোকে লোকারণ্য, বাদ্যধ্বনি, তোপধ্বনি, পৌরজনের জয়ধ্বনি মিলিত হইয়া যে কি গগনভেদী গম্ভীর নাদ সমুথিত হইল তাহ বর্ণনাতীত । প্রাসাদে গিয়া উজীরের প্রতিনিধি পদে সিন্দের বরণ । এষ্ট প্রসঙ্গে সিন্দিয়ার বিনয় অভিনয় অতীব কৌতুকজনক । পত্রিমিত্র সভাসদ সমস্ত লোকে তাহার সম্মানার্থে যেমন ব্যগ্র, সিন্দিয়া নিজ পদলাঘব বজায় রাখিতে তেমনি তৎপর। সমবেত আমীর ওমরাদের মধ্যে নিকৃষ্ট আসন গ্রহণ করা, স্বভূজার্জিত উচ্চপদবী সকল তুচ্ছ করিয়া আপনার পাটেল, নাম লোক মধ্যে ঘোষণা করা, মোরচল ( ময়ুর পুচ্ছের চামর ) ধরিয়৷ পেশওয়ার পলকীর সঙ্গে সঙ্গে চল, পৈতৃক রীতি অনুসারে পেশওয়ার প্রশ্বে পাদুকা ধরিয়া দাড়ানো, ইত্যাদি বিনয় ভানে তিনি লোকরঞ্জনের চেষ্টা করেন । কিন্তু তাহার গুঢ় অভিসন্ধি শীঘ্রই বাহির হইয়া পড়িল । . নানা ফর্ণবীস এই সমস্ত ক্রিয়াকাণ্ড সমাপ্ত হইবার পর সিন্দে ক্রমে নিজ মূর্ত্তি ধারণ করিলেন । পুণা দরবারে তাহার প্রতিপত্তি দিন দিন বৃদ্ধি হইতে চলিল। পুণায় থাকিয়া প্রধান মন্ত্রীরূপে রাজকার্য্য নির্ব্বাহ করেন এই তাহার ভিতরকার মতলব। এই সময়ে নানা ফর্ণবীস তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া মাথা তুলিলেন। পুণ দরবারে নানা একমাত্র দুরদর্ণ ネ。