পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বাল্যকথা శ్రీ రి মিলে তাকে কিল চড় বর্ষণ করতে লাগলো। কিন্তু আমার বন্ধুটি ত কিছুতে দমবার পাত্র নন, তাহলে তিনি আজ এই দেশপূজ্য তারকনাথ পালিত হ’তে পারতেন না । তিনি দুই হাতে শত হস্তের ব’ল ধরে তাদের উপর যুমি চড় কিল বর্ষণ করতে ছাড়লেন না। খুব মীর খেলেন সত্য—কিন্তু মাবতেও কিছুমাত্র কমুর করেন নি। আসলে যে তারই জয় লাভ হল একথা মুক্ত কণ্ঠে স্বীকাব করতে হবে। কিন্তু তার পর দিন আমাদের প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রেব এই খবরে ভাবী বেগে গেল । রমানাথ নন্দী বলে একজন ছোকরা আমাদের দলের চাই হয়ে দাড়িয়ে Awake, ali se or be for ever fallen – aÊ zitĒRĒ ētssza fito Ftzizą ērgfīS করতে লাগলে । পব দিন দল বেঁধে মাঝামারি করতে যাওয়া ঠিক হয়ে গেল । তারক প্রথমটা এতে অমত করলেন, বল্লেন, কার্য্যক্ষেত্রে তারা ও মেরেছে আমিও মেরেছি, শোধবোধ হয়ে গেছে—আবার এরকম সেজে গুজে মারামারি করতে যাওয়াটা ঠিক হবে না । কিন্তু সকলে যখন স্থির করলে যে, ন, মরতেই হবে, তখন তিনিও আগুয়ান হয়ে দাড়ালেন । তার পর যথন দেখা গেল ফিরিঙ্গি অনেক তখন সর্ব্বাগ্রে অণুমাদের উত্তেজক মহাশয় রণে ভঙ্গ দিলেন ; অনেকেই তার অনুসরণ করলে,—আমরা যে ছতিন জন শেষ পর্যন্ত অটল ছিলুম তার মধ্যে ভৈৰব বাড়ু যে একজন। তিনি আমাদের একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন । আসলে হার হ’ল আমাদের এই দ্বিতীয় দিনে, এদিনে তারক খুবই মার খেয়েছিলেন। তবুও ফিরিঙ্গীরা তাকে apology করাতে পারেনি। তাদের এ প্রস্তাবে তিনি বলেছিলেন, “আমি মবে যাব তবু apology করব না ।” - প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রিনসিপ্যাল তখন ছিলেন সাট্রক্লিক সাহেব, তিনি আমাদের খুব ভালবাসতেন । মেডিকেল কলেজের প্রিনসিপ্যাল টুয়েল তাকে লিখে পাঠালেন যে, আমরা দল বেঁধে মেডিকেল কলেজের ছোকরাদের মারতে গিয়েছিলুম। প্রিনসিপ্যালের কৈফিয়ৎ তলবে তারক তখন সমস্ত খুলে বল্লেন। সেই ফিরিঙ্গ কি রকম রূঢ় ব্যবহার করেছিল- যা থেকে এই মারামারির উৎপত্তি-- একলা তাকে তারা ৪৫ জন মিলে কি রকম আক্রমণ করেছিল—সব শুনে সাটুক্লিক সাহেব নেপথ্যে বল্লেন— Served him right-- যাহোক প্রকাস্তে দুজনেরই জরিমানা হয়ে মামলা মিটমাট হয়ে গেল । 输 আর কয়েক বৎসর পরে হিন্দু স্কুল থেকে কিছুকালের জন্তে St. Pauls' Schooএ গিয়ে ভর্ত্ত হই। সেখানে ইংরাজ ফিরিঙ্গ আরমানী ছেলেরা আমার সহাধ্যায়ী ছিল ; তাদের সঙ্গে যে, সকল সময়ে মিলে মিশে সম্ভাবে থাকতুম তা বলতে পারি না, কখন