পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অধ্যায়: আট
ঈশ্বর বিশ্বাস: নাস্তিকতা-মানবতা-যুক্তিবাদ ও প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা

‘নাস্তিকতা' ও 'মানবতা'

ধর্ম যাদের 'মানবতা', তাদের নাস্তিক বলে চিহ্নিত করলে একটা বড় রকমের ভুল করা হবে। এই বক্তব্যের যৌক্তিকতা বোঝাতে যা প্রয়োজন তা হল, 'নাস্তিকতাবাদ’ ও ‘মানবতাবাদ’ নিয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা।

 নাস্তিকতাবাদ’ ও ‘মানবতাবাদ' শব্দ দুটি সমার্থক তো নয়ই, বরং সুস্পষ্ট একটা পার্থক্য রয়েছে। 'নাস্তিকতাবাদ'-এর ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Atheism'। 'Atheism' শব্দের আভিধানিক অর্থ 'নিরীশ্বরবাদ'। অর্থাৎ 'ঈশ্বরের অস্তিত্বকে মানা মতবাদ'।

 নাস্তিক’ শব্দের বাংলা আভিধানিক অর্থ অবশ্য কিঞ্চিৎ বিস্তৃত। 'সাহিত্য সংসদ' প্রকাশিত 'বাঙ্গালা ভাষার অভিধান' বলছে, ১) যে বেদ মানে না; যে বেদকে আপ্তবাক্য বলিয়া স্বীকার করে না; ২) যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব, বেদ ও পরকাল স্বীকার করে না; ৩) দেশাচার যে মানে না।

 'সাহিত্য সংসদ' প্রকাশিত অভিধানের লেখক জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস 'নাস্তিক' শব্দের অর্থ হিসেবে যখন বলেন, “যে বেদ মানে না; যে বেদকে আপ্তবাক্য বলিয়া স্বীকার করে না তখন সেই বলার মধ্যে প্রকাশিত হয় হিন্দু ধর্ম-শাস্ত্রের দেওয়া 'নাস্তিক' শব্দের ব্যাখ্যা।

 হিন্দু ধর্মের দেওয়া 'নাস্তিক' শব্দের সংজ্ঞাটি আমরা প্রথমেই বাতিল করছি।

১৮৮