পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অধ্যায়: দুই
ঈশ্বর বিশ্বাস: পুরাণ ও ইতিহাসে মুখ দেখাদেখি বন্ধ


কারণ: তেরো

বেদ-মনুস্মৃতি-কোরআন-বাইবেল নাকি অপৌরুষেয়, অর্থাৎ ভগবানের নিজের লেখা!


বিভিন্ন ধর্ম-বিশ্বাসীদের মধ্যে একটি দৃঢ়বদ্ধ ধারণা আছে, তাঁদের ধর্মগ্রন্থ আপৌরুষেয়। অর্থাৎ মানুষের রচিত নয়। অর্থাৎ ঈশ্বর-রচিত। ঈশ্বর-রচিত এসব ধর্মগ্রন্থ পাঠ করলে জানা যায়, ঈশ্বরের জাগতিক প্রার্থণা পুরাণের ক্ষমতা আছে। উদাহরণ হিসেবে যে কোনও একটি তথাকথিত ঈশ্বর-রচিত গ্রন্থকে পাঠ করলেই এই বক্তব্যের সত্যতা বুঝতে পারবেন। বেদ-এ চোখ বোলান, দেখতে পাবেন বিভিন্ন দেবতাদের উদ্দেশে রয়েছে প্রার্থনা—আমাকে দীর্ঘ আয়ু দাও, আমাকে সুস্বাস্থ্য দাও, নারীদের বশ করার ক্ষমতা দাও, নারীসংগমে দীঘ আনন্দ পেতে প্রচুর বীর্য দাও, অনেক খাবার দাও, অনেক গরু-ঘোড়া-মোষের মাংস খেতে দাও, যুদ্ধে জয় দাও ইত্যাদি 'দাও দাও'-এব মেলা। এই মেলা ‘দাও দাও' প্রার্থণা করতে মানুষকে যেহেতু ঈশ্বর-ই নির্দেশ দিয়েছেন, তাই ধরে নিতেই পারি ঈশ্বরের এমনি হাজারো প্রার্থণা পুরাণের ক্ষমতা আছে। ক্ষমতা না থাকলে, 'আমার কাছে প্রার্থণা কর' বলাতে যাবেন কেন? মিথ্যে প্রলোভন দেখাবেন কেন?

 সব ধর্মগ্রন্থেই এমন বহু প্রার্থনা পূরণের বিপুল আয়োজন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অপৌরষেয় ধর্মগ্রন্থে নারীকে পুরুষ শাসনে অবদমিত রাখার ও তাকে

৩৫