এই ধরনের মিসটিক ফেনোমেনার (Mystic Phenomena) কেউ কেউ অসংলগ্ন কথা বলে, কারও বা মুখ থেকে এই সময় স্বতস্ফূর্ততার সঙ্গে বেরিয়ে আসে কবিতার ছন্দে নানা ধর্মীয় উপদেশ, কেউ কেউ মনে করে পরমপিতা বা পরমব্রহ্মের সঙ্গে সে একাত্ম হয়ে যাচ্ছে। যদিও মনোরাগ চিকিৎসকরা একটি মাত্র লক্ষণের উপর নির্ভর করে সাধারণত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চান না, তবুও তাঁদের অনেকেই মনে করেন-যীশু, হজরত মহম্মদ, চৈতন্যদেব ছিলেন 'রিলিজিয়াস মিস্টিক' বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
O
এই ধরনের মিসটিক ফেনোমেনার (Mystic Phenomena) কেউ কেউ অসংলগ্ন কথা বলে,কারও বা মুখ থেকে এই সময় স্বতস্ফূর্ততার সঙ্গে বেরিয়ে আসে কবিতার ছন্দে নানা ধর্মীয় উপদেশ, কেউ কেউ মনে করে পরমপিতা বা পরমব্রহ্মের সঙ্গে সে একাত্ম হয়ে যাচ্ছে।
O
‘রিলিজিয়াস মিস্টিক’ শ্রেণীকে মনোবিজ্ঞানে ৫টি ‘স্টেজ’ বা পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। এই বিষয়ে উৎসাহীদের বিস্তৃত জানতে মনোরোগ চিকিৎসকদের অতি নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ হিসেবে পরিচিত “Modern Synopsis of Comprehensive Text Book of Psychiatrist” দেখতে অনুরোধ করছি। লেখক: Harold l. Kaplan & Benjanin Sadock, 3rd edition। প্রকাশক: লন্ডনের উইলিয়ামস অ্যান্ড উইলিয়ামস। পৃষ্ঠা—২৩৪-২৩৫।
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম—ঈশ্বরের বাস্তব অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও কী মানসিক পরিস্থিতিতে ঈশ্বর দর্শন করা সম্ভব সেই প্রসঙ্গ নিয়ে। ঈশ্বর দর্শনের দাবিদার অনেকেই কিন্তু কোনওভাবেই ঈশ্বর দর্শন না করেই দাবি করে অর্থ ও ক্ষমতার লোভে।
কারণ: বত্রিশ
ঈশ্বর যদি না-ই থাকবে, কালী-মনসা-শীতলা এ’সবের যে ভর হয়, সেগুলো তবে কী? ভরে অনেক অদ্ভুত ব্যাপার-স্যাপার যে ঘটে, সেগুলোর ব্যাখ্যাই বা তবে কী?
এমন কথা শুধু যে আমজনতার মুখ থেকে উঠে আসে, তা তো নয়, অনেক নামী পত্র-পত্রিকায় দামী সাংবাদিকরাও এসব নিয়ে অনেক কিছুই লেখেন। তাতে সাধারণের বিভ্রান্তি বাড়ে, ঈশ্বর-বিশ্বাস গাঢ় হয়। আমাদেরও দায়িত্ব বাড়ে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকেই আসুন বিশ্লেষণের জন্য আমরা বেছে নিই।