পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজল বলে । -জানতাম তোমাকে একদিন আমার কাছে পাবো সাবিত্রী। সেদিনের সেই পরিচয় এমনি করে হারিয়ে যাবে না। সাবিত্রী ওকে দেখছে। বিচিত্র বোধ হয় ওকে। কাজলের কথায় সাবিত্রী চমকে ওঠে। তার শূন্য জীবনে একদিন কাজল এসেছিল ঝড়ো হাওয়ার মত। কিন্তু সেটা যেন ক্ষণিকের জন্যই। আজ সেই মুহূর্তগুলোর সুরারেশ নিঃসঙ্গ সাবিত্রীকে উতলা করে তোলে। কাজলের হাতখানা ওর হাতে । এমনি স্পর্শ তার আগেও পেয়েছে। দু'জনের মাঝে দু'জনকে তারা খুঁজে পেতে চেয়েছে। আজও চলেছে সেই ব্যাকুল অন্বেষণ। গাড়িটা চাদের আলোর সীমানা ছাড়িয়ে কলকাতার কাছে এসে গেছে। রাস্তার আলোগুলো জুলছে-ওরা ফিরে এসেছে আবার শহরের পরিবেশে । কাজল বলে-এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলাম! অর্থাৎ সময়টা কোনদিকে কেটে গেছে তার খবর রাখে না তারা। সাবিত্রীও ওই কথাই ভাবছে। এই সময়টুকু কোনদিকে কেটে গেছে তার খেয়াল নেই। সাবিত্রীর জীবনে এ যেন কোন অমৃত সঞ্চয়, তার ব্যর্থ রিক্ত জীবনে আবার সব পাওয়ার আশ্বাস জাগে | কাজল বলে—আবার দেখা হবে সাবিত্রী। সাবিত্রী হাসল একটু। কাজলের মনের সেই নীরব যন্ত্রণাকে সেও দেখেছে। সাবিত্রী <( । --আজ তো আর পয়সার ভাবনা নেই তোমার, তবে এভাবে কেন আছে ? ঘর বাঁধতে তো পারো ? হাসছে কাজল । রাস্তার একটু আলোর আভাস পড়েছে ওর মুখে-চােখে । কি যেন মলিন বেদনার আভাস জগে। কাজল ওর কথাটা শুনেছে। তাই বলে সে। -ওইটাই কি সব ? ܓ ܠ