পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল্যাদি যোগান দেয়-ঠিক বলেছেন। ধরুন আপনি ? কে বলবে এত বড় শিল্পী। একেবারে সিম্পল মানুষ। তাই বলছিলাম সাবিত্রী, এদের গুণগুলো দেখে শেখো। এত সুযোগ পেয়েছে। সাবিত্রীর প্রাণ খুলে হাসিতে ফেটে পড়তে ইচ্ছে করে। কাজলবাবু দেখছে ওই সাবিত্রীকে। কঠিন সন্ধানী চাহনি মেলে কাজল ওই মেয়েটির নীরবতার মধ্যে হয়তো অতীত আর বর্তমানকে দেখছে। কাজল বলে-গান শেখার ইচ্ছেটা দু’দিনেই যেন শেষ না হয়ে যায়। অনেক মেয়েদের তো এমনিই দেখি । সাবিত্রী জানাতে পারে না তার মনের ওই নীরব জ্বালাটাকে। সে আরও বড় হতে চায়। তার মনের স্তরে স্তরে বেদনার জমাট অন্ধকারে তার নিঃসঙ্গ মন ওই সুরের ছোঁয়ায় সাস্তুনা পায়। তার নির্জন নিঃসঙ্গ নির্জনতাকে ভুলতে পারে। সাবিত্রী বলে-থামতে আমি চাই না। কাজল তীব্র স্বরে হেসে ওঠে। —তাই নাকি? শুনে সুখী হলাম। সাবিত্রীর সব কাঠিন্য-যন্ত্রণা যেন ওই বিদ্রুপের তীব্রতায় খান খান হয়ে যায়। দু'চোখ জলে ভরে ওঠে। কাজলও সেটা দেখেছে। হঠাৎ সিঁড়ি দিয়ে কাকে আসতে দেখে কাজল হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানায়। —সুলেখা শোন তোমার শিষ্য কি বলে? আরো বাপ-একদিন রেডিওতে প্রোগ্রাম করে ডট কতো বেড়ে গেছে। সাবিত্রীর দু'চােখ জলে ভরে ওঠে এই জঘন্য অপমানে। সুলেখা ওর দিকে চেয়ে চমকে ওঠে। কাজলবাবু ওই শাস্ত অসহায় মেয়েটিকে চরম আঘাত দিয়ে কি আনন্দ পায় জানে না। সুলেখা, ও বলে কাজলবাবুকে। --কি বলছেন। আপনি ? একজন সবে গাইছে তাকে শিল্পী হয়ে উৎসাহ দেবেন, তা নয় এমনি ভাবে আঘাত দিয়ে কি লাভ আপনার ? যাও, সাবিত্রী কাজে যাও। সাবিত্রী সুলেখাদির কথাগুলোয় কি একটা আশ্বাস পায়। SV)