পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মত্ব লাভ শ্বেতকায়দের সঙ্গে লড়াই করেন। যুদ্ধে অনেক ইয়াংকী মারা গিয়েছিল। আমরা নাকি তখন থেকে স্বাধীন হয়েছিলাম। এখন-ও নাকি আমরা স্বাধীন। কিন্তু পূর্বে কি ছিলাম এবং বর্তমানে কি হয়েছি জানতে হলে ইয়াংকীদের দেশে যেতে হবে, মা তাও বলেছিলেন। সে জন্য ইয়াংকীদের দেশে যেতে ইচ্ছা হচ্ছিল। কিন্তু এতনী এক দিন ডেকে বললে, “কেন উত্তরে যাবে, এখামে জন্মেছি, এখানেই মরব। আমরা ত বেশি কিছু চাই না। শ্বেতকায় আমাদের লিঞ্চ না করুক, পেট ভরে খেতে পাই এবং শীতের সময় শীত সহ করার মত একটি সুট পেলেই হল। সেজন্ট ইয়াংকীদের দেশে যেয়ে লাভ কি? তুই এখানেই থাক, আমিও থাকব। আমাদের জীবন শান্তিময় করার চেষ্টা করব, এতে যদি মরতে হয় মরব, তাতে ক্ষতি কি? মরণের কথা চিন্তা করতেও ভাল লাগত না। মরণের কথা মনে হলেই রুটির কথা মনে হয়। এমন সুন্দর গন্ধযুক্ত রুটি ছেড়ে কোথায় চলে যেতে হবে। মাকে দেখতে পাব না, এনী এবং তার বােনটাকে যদিও ঘৃণা করি কিন্তু এদের প্রতি টান রয়েছে। তাদেরও দেখতে পাব না, সবই অন্ধকার হয়ে যাবে। যখন বুড়াে হব যখন চলতে পারব না, যখন চোখে দেখতে পাব না তখন বিদায় নিলে দুঃখ হবে না। কিন্তু এখন কেন পৃথিক হতে বিদায় নেব ; এই কথাটাই এতনীকে এক দিন বলেছিলাম। এতনী আমাকে শুধু বলেছিল, “কাপুরুষ ?” কাপুরুষ মানে ভীত লােক। হ্যাঁ, আমি ভয়ও করি নতুবা দিনের বেলায়ও ঘর হতে কেন বের হই না বেশি? শ্বেতকায়রা আমাকে মেরে ফেলবে সেই ভয়েই ঘর হতে বের হই না। আমি কাপুরুষ ছাড়া আর কি হতে পারি? তারপর বাবা কে ছিলেন জানি না। তিনি নিশ্চয়ই কাপুরুষ ছিলেন, নতুবা আমাদের ছেড়ে - । 4