পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্বর-চিকিৎসা । bفلس( হস্ত পদাদি অঙ্গে শোথ প্রভৃতি উপসর্গ প্রকাশ পায়, তাহাকে বাতবিলাসক জর কহে, এই জ্বরে শ্লেষ্মার প্রাধান্য দৃষ্ট হয়। প্রলাপকজরের লক্ষণ । যে জ্বরে রোগীর দেহে ঘর্ম্ম ও গুরুতা উপ লব্ধি হয় এবং জরিবেগ অল্প অনুভূত হয়। অথচ জরকালে শীত বিদ্যমান থাকে, তাহাকে প্রলাপক জর কহে। আমাশয় ও সন্ধিসমূহস্থিত দোষ প্রকুপিত হইয়া এই জ্বর উৎপাদন করে। অৰ্দ্ধনাড়ীশ্বরজ্বরের লক্ষণ । যে জ্বরে শরীরের অৰ্দ্ধাংশ পিত্তদ্বারা উষ্ণ এবং অৰ্দ্ধাংশ শ্লেষ্মা দ্বারা শীতল থাকে, তাহাকে অৰ্দ্ধনাড়ীশ্বর জার-কহে । জ্বরের সাধ্যাসাধ্য লক্ষণ । যে জ্বরে রোগী সবল থাকে ও দোষের অল্পতা দৃষ্ট হয় এবং কোনরূপ উপদ্রব উপস্থিত হয় না, সেই জ্বর সাধ্য। যে জ্বরে শরীরে অধিক সন্তাপ অনুভূত হয়, কিন্তু পিপাসা, অন্তর্দাহ, সন্ধি ও অস্থি প্রভৃতি স্থানের বেদন ও শ্বাসের অল্পতা লক্ষিত হয়, তাহাকে বহির্বেগ জ্বর কহে। এই জ্বর সুখসাধ্য। যে জ্বরে রোগীর অন্তৰ্দাহ, 'প্রবল পিপাসা, প্রলাপ, শ্বাস, ভ্রম, অস্থি ও সন্ধিস্থানে বেদনা, ঘর্ম্মরোধ এবং বাতাদিদোষের সঞ্চয় ও মনের গ্লানি লক্ষিত হয়, তাহাকে অন্তর্দহ জর কহে, এই জ্বর কষ্টসাধ্য। যে জ্বরে রোগী ক্ষীণ ও শোথে পীড়িত হয়, সেই জ্বর অসাধ্য। जन्मखुg রাত্রি ব্যাপিয়া যে জ্বরে রোগীকে কষ্ট প্রদান করে এবং জরের বেগ বশতঃ রোগীর মস্তকে হঠাৎ সীথিপাড়ার ন্যায় প্রকাশ পায়, সেই জ্বরকে কেশসীমান্তকৃৎ জ্বর কহে । এই জ্বর অসাধ্য। পূর্বোল্লিখিত সততাদি জ্বরসমূহের মধ্যে জ্বরারম্ভকালে রোগীর গীত অনুভব হইলে এবং জর বিরামকালে দাহ উপস্থিত হইলে, জরায়ম্ভকালে বাত শ্লেষ্মার প্রকোপ জানিবে এবং অন্তে পিত্তের প্রকোপ জানিবে ; এই প্রকার ত্রিদোষজনিত জৱ সাধ্য। রোগীৱ জ্বরারম্ভকালে দাহ অর্থাৎ পিত্তের