পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিভাষাপ্রকরণ । ܦ করিয়া একটী প্রস্তরখলে দৃঢ় রূপে দুইদিন মর্দন করিবে ; কারণ উত্তমরূপে মর্দন না করিলে স্বর্ণ সহজে ভস্ম হয় না ; তৎপর পারদের সমান গন্ধক উহাতে মিশ্রিত করতঃ কজ্জলী করিয়া মূষামধ্যে স্থাপন করিবে, অনন্তর মৃত্তিক সংযুক্ত বস্ত্রখণ্ড দ্বারা মূষ দৃঢ় রূপে লিপ্ত করিয়া রৌদ্রে শুষ্ক হইলে, ত্রিশখানি বনফুটিয়া দ্বারা উহাকে গর্ত্তমধ্যে পুট দিবে, তৎপরে ঐ স্বর্ণ গ্রহণ করিয়া পুনরায় সমভাগ পারদ স্বর্ণের সহিত মিশ্রিত করতঃ গন্ধক সহ কাজলী করিয়া মূৰামধ্যে স্থাপন পূর্বক পূর্ব্ববৎ ত্রিশখানি বনফুটিয়া দ্বারা পুটপাক করিবে ; এইরূপ সর্ব্বসমেত ২/৩ বার পুট দিলেই স্বর্ণ ভস্ম হইয়া সৰ্বকার্য্যোপযোগী হয়। ঘুটিয়া বেশী দিলে সোণা গলিয়া যাইতে পারে ; সুতরাং ২৫৩০ খানির বেশী দেওয়া কর্ত্তব্য নহে । স্বর্ণমাক্ষিকশোধনবিধি তিনভাগ স্বর্ণমাক্ষিক ও একভাগ সৈন্ধব লবণ একত্র করিয়া জাম্বীরের ( গোড়ালেবুর ) রস সন্ধু লৌহপাত্রে পাক করিবে এবং লৌহদণ্ডদ্বারা আলোডুন করিতে থাকিবে, যাবৎ লৌহপাত্র রক্তবর্ণ না হয়, তাবৎ ঐ প্রকার জাল দিবে এবং রক্তবর্ণ হইলে স্বর্ণমাক্ষিক বিশুদ্ধ হইয়াছে জানিবে । স্বর্ণমাক্ষিকভস্মবিধি । শোধিত স্বর্ণমাক্ষিক ১ ভাগ ও তাহার চারিভাগের এক ভাগ গন্ধক একত্র করিয়া এরণ্ডতৈলে মর্দন করিবে, পরে উহাকে চাকির ন্যায় করিয়া একখানা শরার মধ্যে স্থাপন পূর্বক অন্য শরাদ্বারা মুখবন্ধ করিবে এবং মৃত্তিকাদ্বারা দৃঢ় রূপে সন্ধিস্থান লিপ্ত করিয়া গর্ত্তমধ্যে বনফুটিয়ার দ্বারা তীব্রপুট প্রদান করিবে, এইরূপে ঐ স্বর্ণমাক্ষিক ভস্ম হইয়া সিন্দূরের ন্যায় বর্ণ ধারণ कgद्र | রৌপ্যমাক্ষিকশোধনবিধি। রৌপ্যমাক্ষিককে কাঁকরোল, মেড়াশিঙ্গী ও গোড়ালেবুর রসদ্বারা ঐকদিন রৌদ্রে পুনঃপুনঃ ভাবনা দিবে। ; এই প্রক্রিয়াদ্বারা রৌপ্যমাক্ষিক বিশোণিত হইয়া থাকে।