পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o আয়ুর্বেদ-শিক্ষা তিজাইয়া রাখিবে, অনন্তর পুনর্ব্বার হস্তদ্বয় ঘূতিদ্বারা লিপ্ত করিয়া আস্তে আন্তে শুরকীর সহিত মর্দন পূর্বক জলে ধৌত করিয়া ছায়ায় শুষ্ক করিয়া লইবে। অমৃতভাল্লাতক প্রস্তুত করিতে হইলে আবার হস্তদ্বয় ঘূতলিপ্ত করিয়া যাতি দ্বারা উক্ত ভেলা সকল কাটিয়া দুইখণ্ড করিবে, তৎপরে যথানিয়মে জলের সাহিত পাক করিয়া কথা প্রস্তুত করিবে এবং এই কাথ স্থত ও দুগ্ধসহ যথানিয়মে পাক ও চিনি মিশ্রিত করিয়া সাত দিবস ধান্তরাণির মধ্যে স্থাপনপূর্বক ভক্ষণ করিবে । শোধনের সময় যদি উহার আঠা কোন অঙ্গে লাগে, তবে সেইস্থান রক্তবর্ণ হইয়া ফুলিয়া উঠে, এই জন্যই হস্তদ্বয়ে স্বতলিপ্ত করা। কর্ত্তব্য। আর উহা পাকের সময়ে সর্ব্বাঙ্গ বস্ত্রদ্বারা আবৃত করিয়া লওয়া উচিত, কারণ উহার ধূম বা বাষ্প লাগিলে, সেইস্থানও রক্তবর্ণ হইয়া ফুলিয়া উঠে, যাহা হউক ইহাতে ভসের কোনও কারণ নাই, যে স্থান ফুলিয়া উঠিবে, সেই স্থানে নারিকেল তৈল ও কর্পােব মিশ্রিত করিয়া প্রয়োগ করিবে। তাত্র, কাংস্য ও পিত্তলভস্মোর সহজ প্রণালী। উক্ত তিনটী দ্রব্যের ভস্ম প্রণালী যেরূপ উক্ত হইয়াছে, সেই প্রকারই কৱিবে । কিন্তু তামা, কাসা ও পিতলের ७७ा সংগ্রহ করিতে পারিলেই সহজে ভস্ম হয়। যেখানে কুদের কার্য্য হয়, সেই খানেই উহাদের গুড়া সংগ্রহ হইতে পারে । বিশেষ দ্রষ্টব্য। এই পরিভাষা প্রকরণে, জারণ, মারণ ও শোধনের যে সকল সহজ প্রণালী লিখিত হইল, ঐ নিয়মানুসারে আমি শত শত বার স্বহস্তে জাগরণ, মারণ ও শোধন করিয়াছি ; সুতরাং ঐ কার্য্যে লিপ্ত হইয়া কাহাকেও কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত বা মনঃক্ষুন্ন হইতে হইবে না। বলা বাহুল্য ঐ সকল সহজ প্রণালী আবিষ্কার করিবার নিমিত্ত আমাকে যে নানা প্রকারে কষ্ট ও ক্ষতি সহ করিতে হইয়াছে, তাহা অভিজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রেই বুঝিতে পরিবেন। পরিভাষা সম্পূর্ণ।