পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS আরণ্যক নাঢ়া বইহারের ঘোর জঙ্গল। মাত্র দু-চার ঘর প্রজা সামান্য সামান্ত জঙ্গল কাটিয়া খুপরি বঁাধিতে শুরু করিয়াছে। নকছেদী প্রথমে জঙ্গল দেখিয়া পিছাইয়া গিয়াছিল, বলিল-হুজুর, দিনমানেই বাঘে খেয়ে ফেলে দেবে ওখানে-কাচ্চাবাচ্চা নিয়ে ঘৱ করি।-- তাহাকে স্পষ্ট বলিয়া দিলাম তাহার পছন্দ না হয়, সে অন্যত্র চেষ্টা দেখুক । নিরূপায় হইয়া নকছেদী নাঢ়া বইহারের জঙ্গলেই জমি লইল । പ്പ সে এখানে আসা পর্য্যন্ত আমি কখনও তাহার খুপরিতে যাই নাই। তবে সেদিন সন্ধ্যার সময় নাঢ়া বইহারের জঙ্গলের মধ্য দিয়া আসিতে দেখি ঘন জঙ্গলের মধ্যে খানিকটা ফাকা জায়গা-নিকটে কাশের দুটি ছোট খুপারি। B DuDB DBBD DuBBK DDBD DBDBBDDS সেইটাই যে নকছেদীর তা আমি জানিতাম না, ঘোড়ার পায়ের শব্দ শুনিয়া যে প্রৌঢ় স্ত্রীলোকটি খুপরির বাহিরে আসিয়া দাড়াইল-দেখিলাম সে তুলসী। --তোমরা এখানে জমি নিয়েছ ? নকছেদী কোথায় ? তুলসী আমায় দেখিয়া থতামত খাইয়া গিয়াছে। ব্যস্তসমস্ত হইয়া সে গমের ভূষি-ভরা একটা চটের গদি পাতিয়া দিয়া বলিল-নামুন বাবুজী-বসুন। একটু। ও গিয়েছে লবটুলিয়া, তেল নুন কিনে আনতে দোকানে। বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে । --তুমি একা এই ঘন-বনের মধ্যে আছ ? -ও-সব সয়ে গিয়েছে, বাবুজী। ভয়ডর করলে কি আমাদের গরিবদের চলে ? একা তো থাকতে হ’ত না-কিন্তু অদৃষ্ট ষে খারাপ। মঞ্চী বাত দিন ছিল, জলে জঙ্গলে কোথাও ভয় ছিল না। কি সাহস, তেজ ছিল তার, বাবুজী । তুলসী তাহার তরুণী সপত্নীকে ভালবাসিত। তুলসী ইহাও জানে এই বাঙালী বাৰু মঞ্চীর কথা শুনিতে পাইলে খুশি হইবে।