পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই ভয়ে সে মেনে নিয়েছে মায়ার মমতার অভিনয় । মিনু ঘর ঝাঁট দিতে এলে কেশব হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করে, হারে মিন্য, ও বাড়ীর ওই মায়া একটু বোকাটে হাবাটে মানুষ না ? মিনু বলে, বোকা হাবা ? মায়ামাসীর মত চালাক চতুর মেয়েমানুষ এ তল্লাটে আছে ? ঃ একটু পাগলাটে, না ?

পাগলামির ভান করে, ভারি চালাক তো । বিধবা হয়েছে, বয়েস হযেছে, কত যে ওর সখ । এমনি লোকে নিন্দ করবে, তাই পাগলামির ভান করে সখ মেটায়। কাল কি করেছে জানো ? এই বড় মাছের আধাসের পেটি এনেছিল, রান্না করে
কে এনেছিল মাছের পেটি ?

রঞ্জন দা” । কেশব জানে । রঞ্জন হঠাৎ একটা চাকরী বাগিয়ে ফেলেছে। ভোজবাজীর খেলা দেখানোর মত ; মাইনে বেণী নয, চাকরা স্তাষী নয়, কিন্তু চাকরী তো ! চারটাকা সের মাছের আধাসের পেটি নিয়ে সে বাড়ী ফিরেছিল। হাতে মাইনে পাওযার অনন্দে । কেশবের মনে পড়ে যায় যে মাসকাবার হয়েছে, তারও মাহত নে, পাওনা হয়েছে বীরেশের কাছে । সেই মাছ নিয়ে কেলেঙ্কারি । দশটুকরো করা হয়েছিল আধাসের মাছ। গোবিন্দ দু’টুকরো, রঞ্জন দু’টুিকরো, বাকি সবাই এক টুকরো করে । অবশ্য মায়াকে বাদ দিয়ে । সে তো মাছ খাবে না । মায়া বাচাদের খাওয়ায । (t