পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিদিকে কানু মিস্ত্রীকে নিয়ে কি রকম টানাটানি, আগে থেকে বলে না রাখলে সেও যে কানু মিস্ত্রীর পাত্ত পাবে না, এখবর তো আর ভদ্রলোক রাখে না । ওয়ার্কশপের মধ্যে একটা শূন্যে তোলা গাড়ীর তলায় আধশোয়ার মত বাকা হয়ে বসে কানু গাড়ীটার হৃদপিণ্ডে কি একটা চিকিৎসা চালাচ্ছিল। নিশ্চয় কঠিন আর গুরুতর চিকিৎসা । কেশব ডাকে, কানু ? কানু বলে, দাড়া । বলে প্রায় আধঘণ্টা নিঃশব্দে একমনে ইঞ্জিনটার চিকিৎসা চালিয়ে যেন চটেমটেই বেরিয়ে আসে । গায়ের তেলকালি মাখা কভারটা খুলে ফেলতে ফেলতে ঝাঝের সঙ্গে বলে, ব্যাটার যত সব ধ্যাধ্যেরে পচা মরা গাড়ী এনে দেবেআর আমায় হুকুম করবে। কানু সারিয়ে দাও। : cकन, १ाएँीछे 6ड। नडून व्लॉ१एछ ? : গাড়ী তো নতুন, ইঞ্জিনটা ঠাকুর্দার চেয়ে বুড়ে । ঠাকুর্দার হাড়ের চেয়ে রদ্দি মাল দিয়ে ইঞ্জিনটা করেছে। শুধু বাইরেটা দেখে এ গাড়ীটা কেউ কেনে ? ওয়ার্কশপের মালিক হারেনের পরণে মিলিটারীর পরিত্যক্ত ফুল প্যাণ্ট আর সার্টে সিভিলিয়ানী সামঞ্জস্য করা বেশ। মুখের চামড়া যেন শুকনো আমসির ছাল দিয়ে গড়া ।

কাল কিন্তু গাড়ীটা ছাড়তেই হবে কানু। রসিকবাবুর ভাগ্নের

গাড়ী। রসিকবাবুর কাকাই কিন্তু গাড়ীটারীর ব্যাপারে কর্তা । কানু বলে, গাড়ীটার শ্রাদ্ধ করতে বলে দিন। হরেন চটে বলে, কি রকম ?