পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: দাড়িয়ে কেন ? ভেতরে এসে ? চৌকো দালানটির ভিতরে একরাত্তি একটু পাকা উঠোন আছে। এপাশে প্রাচীর ঘেরা প্রশস্ত মেটে উঠান। মাচাই আছে তিনটি । লাউ কুমড়া আর উচ্ছে গাছের ; কয়েকটা জবা গাছে ফুল ফুটে আছে। এদিকে দালান থেকে একটু তফাতে চালা ঘরে রান্নাঘর। দালানের পাশ কাটিয়ে মায়া তাকে রান্নাঘরে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে ছিল। গণেশ । এক রাঁধতে মায়ার ভয় করে । গণেশের চিবুক ধরে চুমো খেয়ে মায়া বলে, এবার পড়বে যাও মানিক । পরীক্ষা আসছে যে ? বছর দু’তিন আগেও ডিবারি জ্বলিত রান্নাঘরে । আজকাল বেড়ার শালগাছের খুটিটার গায়ে লাগানো একটা ওয়াল-ল্যাম্প আলো দেয়। দুয়ারের কাছে পিড়ি পেতে দিয়ে মায়া বলে, বোসে । মুখ যে বড় শুকনো দেখছি ? খুব খাটিয়েছে বুঝি আজ ?

না। সারা দুপুর ঘুমিয়েছি।
তবে ?
একটা অ্যাকসিডেণ্ট হয়েছিল। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। ল্যাম্পের রঙীন আলোয় ঠিক বোঝা যায় না কতকটা পাংশু হয়ে যায় মায়ার মুখ । চোখে পলক নেই দেখে, ঠোট দুটি ফাকি হয়ে গেছে দেখে অবশ্য সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায়। তার মনে প্রাণে কত BBBB D BBBDLDSS BDBDB DBDBDDBDD DDDS

মায় রূপসী কিনা বলা কঠিন। লাবণ্যে ঢল ঢল করছে তার তেল চকচকে একরাশি কালো চুলে ঘেরা শ্যামল রঙের মুখখানা, আলগা তীতের শাড়ী ঘেরা শ্যামল কোমল অপুষ্ট দেহটা • কেশব বলে, কি হ’ল ?