পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

הבה" כש" তাশ্বিন ১২৮২ |

জৈনধর্ম্ম মধ্যে পুরোহিতের নামোল্লেখ পর্যন্ত দেখিতে পাওয়া যায়না। তবে অধুনা জৈনের ব্রাহ্মণদ্বারা যে নিজ নিজ দেব | তাদিগের পূজা নির্ব্বাহ করিয়া থাকে, সে কেবল লোকাচার-জনিত পদ্ধতি মাত্র বলিতে হুইবে । জৈনেরা কেবল তীর্থঙ্করদিগেরই পূজা করিয়া থাকে। কিন্তু । | অনেক স্থলে হিন্দু দেব দেবীর আরাধনা হইতেও দেখা যায়। ইহার কারণ এই জৈন তীর্থঙ্করদিগের জীবনবৃত্তে কোন | কোন হিন্দু দেব দেবীর উল্লেখ আছে, উপাসকেরা এই জন্যই উক্ত দেব দেবীর পূজা করিয়া থাকে। ইহাদের মধ্যে এক প্রকার জাতিভেদ ও প্রচলিত আছে । আর ইহারা নিজধর্ম্ম পরিত্যাগ পূর্ব্বক হিন্দুধর্ম্ম গ্রহণ করিলে অবাধে হিন্দু | সমাজে প্রবিষ্ট হইয় থাকে। জৈনেরা সর্ব্বশুদ্ধ চারিপ্রকার দেবতার, অস্তিত্ব বর্ণনা করিয়া থাকে, যথাঃ-ভুবনপতি, ব্যস্তর, জ্যোতিষ্ক ও বৈমানিক। । প্রথম প্রকার আবার দশ সম্প্রদায়ে বিভক্ত। যথা, অস্থর, সর্প, গরুড়, দিকপাল, অগ্নি, বায়ু, সমুদ্র, বজ, বিদ্যুৎ ; এই গুলি পৃথিবীর অধঃস্থ ভিন্ন ভিন্ন নরকের অধিপতি বলিয়া পরিগণিত। দ্বিতীস্নটা আট প্রকার শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা त्रिभs, छूठ, किनंद्र, शंकर्स, ७द९ অন্যান্য বন্য ও পার্ব্বতীয় দেবতাদি। छूठौब्र is ভুগে বিভক্ত, যথাঃ-স্বর্য্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র, এবং অন্যান্য জ্যোতিষ্ক পদার্থ বর্তমান ও অতীত কল্পের দেবতাগণ চতুর্থ শ্রেণীর অন্তর্গত ; ইন্দ্র বরুণ প্রভৃতি দেবগণ এই শ্রেণীস্থ দেবতা। এতদ্ভিন্ন আরও চতুরশীতি সহস্র দেবতার উল্লেখ আছে, ইহার সকলেই প্রধান প্রধান দেবতাদিগের সহচরস্বরূপ । যাহা হউক জৈনেরা উহাদের ধর্ম্ম প্রবর্তৃক তীর্থঙ্কর প্রভৃতি মহাপুরুষ দিগকে দেবতাগণের অপেক্ষ অনেক অধিক ভক্তির সহিত আরাধনা করিয়া থাকে। তীর্থঙ্করদিগের সংখ্যা সর্ব্বসমেত ৭২ প্রকার। তন্মধ্যে ২৪ ] , প্রকারই সর্ব্বপ্রধান। মেদিনীকার হেমচন্দ্র চারজন উৎপত্তি-বিনাশ-বিহীন নিত্য চিরজীবী তীর্থঙ্করের নামোল্লেখ করিয়াছেন, যথাঃ-ঋষভানন, চন্দ্রানন, বারি যেণ এবং বৰ্দ্ধমান। এই চারিটর মধ্যে প্রত্যেকের মূলগত অর্থ কিরূপ তাঁহা সবিশেষ নির্ণয় করিতে পারা যায়না। আর এই চারিজনের অস্তিত্ব জৈনদিগের মধ্যে সর্ব্ববাদিসম্মতও নহে। হিন্দুধর্মের প্রবলতর প্রতাপবশতঃ জৈন ধর্ম্মের মধ্যে অনেক স্থলে হিন্দুধর্মের প্রভাব দেখিতে, পাওয়া যায়। ফলতঃ , হিন্দুধর্ম্মের সহিত নানাবিষয় মিশ্রিত। হইয় এক্ষণে আর জৈনধর্মের বিশুদ্ধভাব নাই। উত্তর পশ্চিম প্রদেশের অনেক স্থানে জৈনধর্ম্মাবলম্বীরা হিন্দুশাস্ত্রোক্ত তান্ত্রিক দেব দেবীর আরাধনা করিয়া | থাকে। কোথাও কোথাও শৈব ও শাক্ত ভৈর ও ভৈরবীদিগের প্রতিমা জৈন| মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রতিষ্টিত দেখা যায়। ---...