পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭૦ ማiffiቸá | 8ፋችፋ—eጃ ዛነቐil একমত হইবেন, এ কথা আমি বলি না। তবে চিন্তা চিন্তাকেই উস্কাইয়া” দেয়। এক বিধ চিন্তা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিধ চিন্তা জাগাইয়া তুলে । ম্যাক্সমুলারের হিবাৰ্ট বক্তৃতা অবলম্বনে অধ্যাপক সরকার মহাশয় ‘ধর্ম্মের প্রকৃতি-অসীমের উপলব্ধি’ শীৰ্ষক একটি সন্দর্ভ লিখিয়া উহ। এই গ্রন্থমধ্যে সন্নিবিষ্ট করিয়াছেন। ইহাতে ধর্ম্মসম্বন্ধে পাশ্চাত্য দার্শনিক সিন্ধান্তের কিঞ্চিৎ আভাস মাত্র প্রদত্ত হইয়াছে। এই সন্দর্ভটিতে ধর্ম্মসম্বন্ধে বিভিন্ন মনীষীর বিভিন্ন মতের ও সসীম ইন্দ্রিয়জ জ্ঞানের দ্বারা অসীমের উপলব্ধি সস্তবে কি না তাহার সজ্যিক্ষপ্ত বিঢ়োর আছে। এই সন্দর্ভে বৈদেশিক মত বিশেষরূপে প্রতিবিম্বিত হইয়াছে। এ সন্দর্ভে লেখকের নিজস্ব যে কিছুই নাই তাহা আমরা বলি না। তবে তাহা এত সামান্য যে, গণনার মধ্যেই আইসে না । আমরা এইরূপ সন্দর্ভের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করি। তবে গ্রন্থকার যদি সঙ্গে সঙ্গে এ দেশের দার্শনিকদিগের সিদ্ধান্তের আভাস দিয়া উভয়ের তুলনায় সমালোচনা করিতেন, তাহা হইলে সন্দর্ভটির গৌরব বহুগুণ বৃদ্ধি পাইত। এ সন্দর্ভে পাঠক বৈদেশিকদিগের ধর্ম্ম-সম্পর্কিত চিন্তা-পদ্ধতির একটু আভাস পাইবেন। বিনয়বাবু অতি সাবধানে উক্ত বক্তৃতার মর্ম্মাভাস দিয়াছেন। ‘ভাষাবিজ্ঞান’ রচণাতেও প্রতীচ্যভাব বিশেষভাবে প্রতিফলিত। ইহাতে অনেক সার কথাভাবিবার কথা,-আছে। বাঙ্গালা সাহিত্যে এই বিষয়ের অবতারণা ও আলোচনা করিয়া সরকার মহাশয় সাহিত্যসেবীদিগের ধন্যবাদভাজন হইয়াছেন । ইহাতে র্তাহার নিজস্ব কিছুই না থাকিলেও ঐ জাতীয় চিন্তার সহিত তিনি যে বাঙ্গালী পাঠককে পরিচিত করিবার প্রয়াস পাইয়াছেনতাহাতেই তিনি ধন্যবাদাহঁ হইয়াছেন। সকলেই সকল বিষয়ে যে মৌলিক ভাব দিতে পরিবেন-এরূপ আশা করাও বাতুলতা । সংসারে মৌলিকতা সুদুলভা । যাহারা বঙ্গীয় সাহিত্যের ভাব রাজ্যের বিস্তারসাধনে সহায়, সাহিত্যে তঁহাদের আসনও অতি উচ্চে। তবে আমার মনে হয়, লেখক তঁহার বক্তব্যগুলি অতিমাত্র সজ্যিক্ষপ্ত করিয়া ভাবকে যেন কতকটা আড়ষ্ট করিয়া ফেলিয়াছেন। যাহারা ইংরেজের লিখিত ভাষা-বিজ্ঞানের সহিত পরিচিত, তঁহাদের এই সন্দর্ভটি বুঝিতে কিছুমাত্র কষ্ট হইবে না ; কিন্তু র্যাহারা ইংরেজী ভাষা-বিজ্ঞান পড়েন নাই,-ৰ্তাহাদের পক্ষে এই সন্দর্ভের দুই একটি স্থান একটু অপরিস্ফুট মনে হইবে। অথচ শেষোক্ত সম্প্রদায়ের