পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ ৷৷ যুরোপ-ভ্রমণ। N( পড়িয়া যায়, ঠাণ্ডা লাগিব।ার কোনও আশঙ্কা নাই। বরফ লইয়া পিণ্ডSnowball করা প্রভৃতি যাহা সব পড়া ছিল, খেদ মিটােন গেল। কিছুক্ষণ পরে হােটেলে ফিরিলাম। তথা হইতে বাটীতে ও বন্ধু-বান্ধবদিগকে Picture Postcard পাঠান গেল। যখন গাড়ির সময় হইল তখন বরফ আরও বেগে পড়িতেছে ও আকাশ প্রায় কুজ ঝটিকা মণ্ডিত। যদিও হোটেলের নিম্নেই রেলের ষ্টেশন ( কুটির মাত্র ) এবং পথও সরল। তবুও সেই সময়ে শ্রীক্ষতিটা ঘুরিতে হইয়াছিল। পুনরায় সেই পথে লুসার্ণে ফিরিয়া আসিলাম। বলিতে ভুলিয়াছি, হ্রদের ধারে এক স্থানে এক কাষ্ঠময় Weird মূর্ত্তি ঠিক জলের ধারে অবস্থিত আছে। শুনিলাম, যীশুর মূর্ত্তি। সুইটজারল্যাণ্ডের যত গির্জার ঘড়ি সব এক কাটা-বড় কঁাটােটা নাই। বোধ হয়, ইহারা তত বেশী ব্যস্ত নহে। যুরোপের অন্যদেশবাসীরা সদাই ব্যস্ত, পাছে এক মিনিট সময় বৃথা ক্ষেপণ হয়। সুইটজারল্যাণ্ডবাসীরা নাকি প্রধানতঃ কৃষিজীবী, তাই ইহাদের অত ব্যস্ততা •ाश् । সুইটজারল্যাণ্ড কৃষিপ্রধানদেশ শুনিয়া হয় তা অনেকে বিস্ময়াপন্ন হইবেন। এ দেশের সাধারণ লোকের কৃষিই একমাত্র ব্যবসায় । যেখানে সেখানেই দেখা যায়, বড় বড় শস্য-ক্ষেত্র না হয় ঘাসের জমী। ঘাস খুব বড় বড়। পাহাড়ের গাত্রে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড সবুজ ক্ষেত্র, দেখিতে খুব সুন্দর। তদ্ভিন্ন এ দেশের গরু খুব বৃহদাকার এবং খুব মূল্যবান। শুনিলাম, দেড়মাস বয়সের গোবৎস ১২০০ হইতে ১৫০০ টাকা মূল্যে বিক্রীত হয়। এ দেশের লোকের অবস্থা খুব সচ্ছল নহে, অন্য যুরোপা দেশের তুলনায় ইহারা খুব দরিদ্র, তবে হোটেলের কৃপায় ধনী ইংরাজ-বিশেষতঃ মার্কিণ যাত্রীর পয়সায় অনেক লোক প্রতিপালিত হয় । এ দেশের আর এক অদ্ভুত ব্যাপার সুইটজারল্যাণ্ডের জাতীয় কোনও ভাষা নাই। কতক লোকের মাতৃভাষা জার্ম্মান, কতকের ফরাসীসা এবং কতকের ইতালিয়। একজন সুইস ভদ্রলোকের মুখে শুনিয়াছিলাম যে, কতকগুলি আদিম নিবাসী নাকি পৰ্বতে বাস করে, তাহদের একটি বিভিন্ন ভাষা আছে। অন্য যুরোপীর দেশের ন্যায়। এ দেশেও শিক্ষা সাধারণ ও অবৈতনিক। মেয়েদের ৮ বৎসর বয়স হইতে ১৮ বৎসর। পর্য্যন্ত স্কুলে পড়িতে হয়। সকালে আটটা হইতে বারটা ও অপরাহ্নে দুইটা হইতে পাঁচটা পর্য্যন্ত স্কুল বসে।