পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/৮৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अङ्गुले-bड्क । ry | סלסל #65C লাইত। সে কথা দেবীচরণ, বিরজা ও সরোজা, ব্যতীত গৃহে আর কেহ জানিতেন না । দেবীচরণের সহিত যতীশের এই পত্রব্যবহারে দুই পরিবারের মধ্যেএবং পরোক্ষভাবে পতিপত্নীর মধ্যে যোগসূত্র ছিন্ন হইতে পায় নাই । তাই প্রতিকৃলি অবস্থার মধ্যেও পাতিপত্নীর হৃদয়ের যোগ বিনষ্ট হয় নাই । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । ( | আশ্বিনের শেষে ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের শরীর অসুস্থ হইল। তিনি সে দিকে মন দিলেন না। শরীর ক্রমেই দুর্ব্বল হইতে লাগিল । পার্ব্বতীচরণ তাহা লক্ষ্য করিল ; স্বয়ং কিছু বলিতে সাহস করিল না, কিন্তু বিরজাকে সে কথা বলিল । বিরজাও পিতার দৌর্ব্বল্য লক্ষ্য করিতেছিল । আলস্য কাহাকে বলে তিনি তাহা জানিতেন না ; কিন্তু এখন তাহার দেহে জড়তার চিন্তু সপ্রকাশ । আর নিত্য বাগানে যাওয়া ঘটে না-ঘরে আর রোয়াকেই সময় কাটে . বিরজা পিতাকে বলিল, “বাবা, আপনার শীর খারাপ হইয়াছে। ডাক্তার দেখাইতে হইবে।” ভট্টাচার্য্য মহাশয় হাসিয়া বলিলেন, “আমার ত কোন অসুখ নাই।” বিরজা বলিল, “আপনি দুর্বল হইতেছেন।” ভট্টাচার্য্য মহাশয় বলিলেন, “চিরকালই কি দেহে সমান বল থাকে ? তোর বাবার বয়স কি বাড়ে না ?” বিরজা বলিল, “কিন্তু তাই বলিয়া কোন অসুখ না হইলে দুই চারি মাসে মানুষ এত দুৰ্বল হয় না।” ভট্টাচার্য্য মহাশয় বলিলেন, “দেখ, বিরজা, এ সংসারে আমাদের কেহই মৌরশীপাট্টা লইয়া আইসে না ; সকলেরই মেয়াদী বন্দোবস্ত ; মেয়াদ ফুরাইলে কাহারও থাকিবার উপায় নাই।” বিরজা। তবুও জিদ করিল-ডাক্তার দেখাইতেই হইবে । ভট্টাচার্য্য মহাশয় বলিলেন, “বিরজা, আমার উপর দিয়া শোকের-দুঃখের অনেক আঘাত গিয়াছে ; বুড়া মানুষের পাকা হাড়-তাই এত দিন টিকিয়া ছিল। কিন্তু আর কত দিন টিকিবে ? যখন তোর কাকীমা’র কথা, তোর কথা, আর সরোজার কথা ভাবি, তখন এক এক বার মনে হয়, এ জীর্ণ তৱী যদি আরও কিছু দিন থাকে, তবে হয় ত