পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

defJé, >'S>> sं श्रयः । SJe সুতরাং পূর্ববঙ্গই মনসা-মঙ্গল গানের প্রধান ও আদি কেন্দ্র। আদি কবিগণ সম্বন্ধে যাহা লিখিত হইল। তাহার পুনরাবৃত্তি করিতেছি কাণা হরি দত্ত (গ্রন্থ রচনাকাল )—১২২৮খঃ। নারায়ণ দেব ( জন্মকাল )-১২৪৬খঃ । বিজয় গুপ্ত ( গ্রন্থরচনাকাল )-১২৪৬খঃ । দ্বিজবংশী ( গ্রন্থরচনাকাল )-১৪৮৫ খঃ । হঁহারা তিন জন ময়মনসিংহ নিবাসী । শুধু বিজয় গুপ্ত বরিশাল ফুলশ্রী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁাদের পুস্তক হইতে তথ্য সংগ্রহ করিয়া অনুমান ১৬৫০ খিষ্টাব্দে বৰ্দ্ধমাননিবাসী কেতকা দাস ক্ষেমানন্দ স্বীয় অপূর্ব করুণরসাত্মক মনসার ভাসান রচনা করেন; তাহা নিবিষ্টচিত্তে পাঠ করিলে প্রত্যেক ছত্রে অশ্রুবর্ষণ করিতে হইবে। কেতকা দাস ক্ষেমানন্দ নারায়ণ দেবের ঋণ স্বীকার করিয়াছেন। ইহাদের পরবত্তী আরও ৫৭ জন ভাসানরচকের কাব্য নূ্যনাধিক পরিমাণে সংগৃহীত হইয়াছে। আর কতশত কবির কাব্য যে লুপ্ত বা নষ্ট হইয়া গিয়াছে তাহা কে বলিবে ? মনসার ভাসানের আদি লেখকগণের ভাষা ও ভাব কিরূপ করুণ ও সহজ-সুন্দর তাহা নারায়ণ দেবের এই কয়েকটি ছত্র হইতে প্রতীয়মান হইবে। বেহুলা বিলাপ করিতেছেন “অমৃত সমান প্রভুরে তোমার মুখের বাণী । পুনরপি না শুনিলুম মুই অভাগিনী ॥ হাতের শঙ্খ ভাঙ্গিম কঙ্কন করিমু চর। মুচিয়া ফেলিমু আমি সিথীর সিন্দুর ॥ এ হেন সুন্দর রূপ প্রভুরে প্রকাশিত রজনী। চন্দ্র সূর্য্য জিনিয়া রূপ প্রভু হরিল নাগিনী ॥ চাপার কলিকাসম প্রভুরে তোমার কোমল অঙ্গুলী । তুমি আমার প্রভুরে অভাগা বেহুলারে ডাক চাহ চক্ষু মেলি ৷” দ্বিজবংশী মনসা দেবীর যে স্তোত্র রচনা করিয়াছেন তাহাতে দৃষ্ট হয়, দেবীর দুই পার্থে নেতা ও সুগন্ধা এবং জালু ও মালু ভ্রাতৃদ্বয়। এই ভাবের - মূর্ত্তির ধ্যান কোন হিন্দু বা বৌদ্ধপুরাণে আছে, তাহা জানি না। শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন ।