পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SQ SR o আর্য্যাবর্ত্ত।। ৩য় বর্ষ-৩য় সংখ্যা । se-sas দ্বিতীয় খণ্ড । বর্জন । প্রখম পরিচ্ছেদ । যাত্রা । ধরণীধর কর্ম্মস্থানে চলিয়া যাইলেন। তখনও যতীশচন্দ্রের কলেজ খুলিবার বিলম্ব আছে । কিন্তু সে কলিকাতায় গেল – পিতামহীকে বুঝাইয়া গেল, পূর্ব হইতে চেষ্টা না করিলে ভাল “মেসে” স্থান পাওয়া যায় না-ভাল “মেসে’ স্থান না পাইলে আহারের অত্যন্ত অসুবিধা হয়। আহারের অসুবিধা হয়-এই যুক্তিই স্নেহশীলা পিতামহীর সকল আপত্তি নিরস্ত করিবার পক্ষে যথেষ্ট । যতীশ কলিকাতায় গেল। আসল কথা, এতদিন গৃহে থাকিয়া কলিকাতায় বন্ধুসমাজে মিশিবার জন্য তাহার বাসন ক্রমে অত্যন্ত প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল ; তাহার ধৈর্য্য-বন্ধন বিচ্ছিন্ন হইবার উপক্রম হইতেছিল। এই কয় মাসে সাহিত্য-জগতে হয় তা কত পরিবর্তন সংঘটিত হইয়াছে ৷ ‘বিশ্বদুতে’ প্রকাশিত নগেন্দ্রনাথের নবপ্রকাশিত পুস্তকের সমালোচনা অমূল্যচরুণ তাহাকে পাঠাইয়াছিল। সে সমালোচনা নির্জলা সুখ্যাতি । সেই উপলক্ষে অমূল্যচরণ লিখিয়াছিল, “আমি কত দিন হইতে আপনাকে বলিতেছি, কবিতাগুলি পুস্তকাকারে প্রকাশ করুন। আপনি নিরতিশয় লজানিবন্ধন তাহাতে অসম্মত । প্রতিভার জয় অবশ্যম্ভাবী, সত্য ; কিন্তু সংসারে আপনাকে একটু চেষ্টা করিয়া প্রকাশ করিতে হয় । আমরা ঠেকিয়া শিখিয়াছি। আমার কথা শুনুন ;-কবিতাগুলিকে সাময়িক পত্রের পৃষ্টায় বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রাখিয়া আর নকলনবীশদিগকে মৌলিক কবি করিবার পক্ষে সহায়তা করিবেন না ?” বাস্তবিক-নগেন্দ্রনাথ তাহার তুলনায় নগণ্য। যতীশচন্দ্র অমূল্যচরণের উপদেশে চঞ্চল হইয়াছিল। কিন্তু পিতার অমত कां7िr १)