পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষাঢ়, ১৩১৯ { न भवनbिन । २२@ ( ১ ) মৌর্য্যসাম্রাজ্যের অন্তৰ্গত প্রদেশসমূহ। (২) সাম্রাজ্যের সীমান্ত প্রদেশ, অর্থাৎ যোন, কাম্বোজ, গান্ধার, রাষ্ট্ৰীক, পিটেনিক, অন্ধ, পচিত্ত, নাভান প্রভূতি দেশ এবং নভপন্থী প্রভৃতি জাতির আবাসভূমি । (৩) অরণ্যপ্রদেশ -এই স্থানে নানাবিধ আরণ্যক জাতির নিবাস। ছিল । ( 8 ) দক্ষিণভারতের স্বাধীন রাজ্যসমূহ।-কেরলপুত্র, সতীয়াপুত্র, Csta \g Yit sgy Crt at (৫) সিংহল । (৬) মিশর, সিরিয়া, সাইরিন, ইনিরাস ও মাসিডোনিয়া । যখন রাজানুগৃহীত ধর্ম্মের প্রচারক্ষেত্র এইরূপ বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল। তখন যে রাজপ্র তাপ অত্যন্ত প্রবল ছিল তাহাতে সন্দেহমাত্র থাকিতে পারে। eni ! আবার এই ধর্ম্মপ্রচারব্যপদেশেই দেশের লিপির, সাহিত্যের ও স্থাপত্যাদি শিল্পের উন্নতি হইয়াছিল। অশোকের অনুশাসনসমূহ প্রচারোদেশে যে নূতন উপায় উদ্ভাবিত হইয়াছিল- তাহাতে লিপির, সাহিত্যের ও শিল্পের উন্নতি হইয়াছিল। “যদিও অশোকলিপি আজি দুই হাজার বৎসরের অধিক কাল লোকচক্ষুর অন্তরালে অতীতের গভীর অন্ধকারে লুক্কায়িত ছিল, তথাপি এখনও এত সুন্দর ও পরিষ্কার অবস্থায় বিদ্যমান আছে যে হটাৎ দেখিলে ইহাদিগকে সদ্য উৎকীর্ণ বলিয়া প্রতীয়মান হয়। পৃথিবীর নানা দেশে এপর্য্যন্ত মত প্রকার অক্ষর প্রচলিত আছে, আশোক অক্ষরের ন্যায় পরিষ্কার, নিরলঙ্কার সরল অক্ষর অন্যাপি আৰিস্কৃত হয় নাই। অশোকলিপি দুইপ্রকার অক্ষরে লিখিত।” এই অশোকলিপির উৎপত্তির সম্বন্ধে নানা পণ্ডিত নানামত প্রকাশ করিয়াছেন। প্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ববিদ প্রিন্সেপ অসাধারণ ধীশক্তি ও সহিষ্ণুতাবলে এই লিপির পাঠোদ্ধার করিয়াছিলেন। তঁহার এই কীর্ত্তি পণ্ডিতসমাজে তঁহাকে চিরস্মরণীয় করিয়াছে । অশোকের আবির্ভাবের পূর্বেও যে ভারতে স্থাপত্যের বিশেষ উন্নতি হইয়াছিল এবং প্রস্তরনির্ম্মিত গৃহ ছিল কানিংহাম তাহা প্রমাণিত করিয়াছেন্। কিন্তু অশোকের সময় রাজানুগ্রহপুষ্ট ধর্ম্মের মহিমা কীর্ত্তনের জন্য যে স্তুপ, স্তম্ভ, বৃতি, বিহার ও চৈত্য নির্ম্মিত হয়। সে সকলে ভারতীয়