পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à8 আর্য্যাবর্ত্ত । । ৩য় বর্য- ১ম সংখ্যা । ছোট চাকাখানা মাঝের রেলের কঁাটায় জড়াইয়া জড়াইয়া উঠে-পাছে গড়াইয়া পড়ে। একখানামাত্র গাড়ি, দুইটা কামরা, ২৪ জনের স্থান হয়। এজিন পশ্চাতে থাকে, গাড়ীখানা ঠেলিয়া উঠে। সম্মুখে একজন লোক কোদালী হস্তে বসিয়া পথের বরফ কাটিতে কাটিতে যায়। লাইন অত্যন্ত খাড়া, Gradient প্রায়। in 4, গাড়িতে বসিতে কিছু কষ্ট হয়। এইরূপ ভাবে প্রায় সাৰ্দ্ধ চারি মাইল যাইতে হয়। শেষের ১॥০ মাইল একেবারে বরফে আবৃত । () ভিট্‌মাউ ছাড়িয়া একটু উঠিলেই বামে লুসার্ণ হ্রদের শোভা নয়নগোচর হয়। প্রত্যেক সেকেণ্ডে হ্রদ সুরিয়া যাইতেছে ও নূতন নূতন সৌন্দর্য্য দৃষ্ট হইতেছে! ভিট্ৰক্সাউ ছাড়িয়া মিনিট পনের পরেই দেখি, লাইনের ধারে ধারে গাজলার মত কি রহিয়াছে, ক্রমে বুঝিলাম ইহাই তুষার। শৃঙ্গোপরি যখন উঠিলাম। তখন দেখি, চতুর্দিক একেবারে তুষারমণ্ডিত। প্রথমে হোটেলে ঢুকিয়া কিছু খাইয়া লইলাম.তাহার পর হােটেল হইতে পার্বত্য যষ্টি-(Alpenstock ) সংগ্রহ করিয়া স্থানদর্শনে বাহির হইলাম। হোটেল শৃঙ্গের উপর অবস্থিত ; তবে একেবারে সর্বোচ্চ স্থানে নহে। সর্বোচ্চ স্থলে একটি কাঠের মঞ্চ নির্ম্মিত ; তাহারই উপর দাড়াইয়া বিখ্যাত Ponorama দেখিতে হয়। যখন হোটেল হইতে বহির্গত হইলাম। তখন কুপ ঝুপ করিয়া বরফ পড়িতেছে ; ভাবিলাম, এত চেষ্টা বৃথা হইল, আমার ভাগ্যে Ponorama দর্শন নাই। কিন্তু জগদীশ্বরের কৃপায় কিছুক্ষণ পরেই বরফ পড়া থামিল ও কুজ কাটিকা কাটিয়া গেল। প্রায় কুড়ি মিনিট আকাশ বেশ পরিষ্কার রহিল। চতুদিকে তুষারাবৃত পর্বতশ্রেণী, নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন হ্রদ, কোথাও বা শস্যক্ষেত্র, কোথাও বা শুধু গাছপালা, কোথা বা পিপিলিকাশ্রেণীবৎ রেলগাড়ি চলিতেছে ; কোনও পাহাড় হয় তা একেবারে তৃণহীন, শুধু বরফ, কোনও পাহাড় বা বৃক্ষলতাসুশোভিত অথচ বরফমণ্ডিত । চারি শত মাইলব্যাপী এই দৃশ্যের সম্যক বর্ণনা করা বা সে চিত্র চক্ষুর সম্মুখে প্রতিফলিত করা চিত্রশিল্পীর পক্ষেও সহজসাধ্য নহে, আমি ত কোন ছার। এই স্বৰ্গীয় দৃশ্য দেখিলে অতি পাষণ্ডেরও মন ভক্তিরসাল্পত হয়। মিনিট কতক পরে খুব বরফ পড়িতে লাগিল। আমি Alpenstock এর ফল দিয়া সেই মঞ্চের উপর N. K. B. ক্ষোদিত করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে আরম্ভ করিলাম। হােটেল অতি নিকটে ; পথ হারাইবার কোনই ভয় নাই ; আর একটু গা বাড়া দিলেই বরফ সব