পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oce, o আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বার্থ-৫ম সংখ্যা । ধীরে ধীৱে নর্ম্মদাতীৱে নানাস্থানে সৈন্য সমাবিষ্ট হইল, তখন সম্রাট স্বয়ং ক্যান্যকুব্জ পরিত্যাগ করিয়া কোশলে প্রবেশ করিলেন। দুর্গপ্রাকারস্বরূপ ধবলশিলামণ্ডিত নির্ম্মাদার উচ্চ তীরের পাশ্বে থাকিয়া বাতাপিনগরের সেনা D DBB DBBDBDBS BDBBD BB DDD DDDBDB BBDBB DDD রক্ষা করিতেছিলেন। কিন্তু বর্ষাজলপ্লাবিত নর্ম্মদ শিলাসকুল উপকুলের জন্য উত্তরাপথের সেনাধ্যক্ষগণের নিকট দুস্তর হইয়া উঠিয়াছিল । তীর্থযাত্রার ছলে প্রচ্ছন্নভাবে দক্ষিণাপথবিজয়যাত্রায় নিৰ্গত হইয়া হৰ্ষবৰ্দ্ধন তীর্থের কথা বিশ্বত হয়েন নাই। আটবিক কোশলে আসিয়া সম্রাট মঠ ও আপ দর্শনের অভিপ্রায় জানাইয়া মঠস্বামীর নিকট দূত প্রেরণ করিয়াছিলেন। যথাসময়ে হৰ্ষবৰ্দ্ধন আত্মীয় স্বজন ও প্রধান প্রধান সেনাধ্যক্ষগণ সমভিব্যাহারে মােঠ দর্শনে আসিলেন । মঠস্বামী সম্রাটের অভ্যর্থনার জন্য যথাসাধ্য আয়োজন করিয়াছিলেন। সম্রাট কিয়ৎক্ষণের জন্য স্তুপের ধ্বংসাবশেষ্যমধ্যে আসিয়া ইতস্তম্ভতঃ পরিভ্রমণ করিয়াছিলেন ও একবার মহাদেব আকারধারী আমার নিকট মন্তক অবনত করিয়াছিলেন। সম্রাট সত্বর তীর্থযাত্রা সমাপন করিয়া নর্ম্মদাতীরে প্রত্যাবর্ত্তন করিলে সকলেই বুঝিতে পারিয়াছিল যে, তিনি ভক্তিপ্রণোদিত হইয়া আপে আইসেন নাই । বর্ষা অতীত হইলে হৰ্ষবৰ্দ্ধানের সেনা নানাস্থানে নির্ম্মদা পার হইবার চেষ্টা করিল, কিন্তু সর্বত্র পাষাণের অন্তরালে থাকিয়া চালুক্য সেনা তাহাদিগের গতিরোধ করিল। নৌকা বা নৌসেতু কোনও উপায়ে যখন নর্ম্মাদার দক্ষিণ কুল অধিকৃত হইল না, তখন হর্ষবৰ্দ্ধন নানাস্থান হইতে সৈন্য একত্র করিয়া স্বয়ং সৈন্যচালনায় প্রবৃত্ত হইলেন। দক্ষিণাত্য অভিযানের ফল তোমাদিগের ইতিহাসে বর্ণিত হইয়াছে। ষে চরণযুগল আর্য্যাবর্ত্তের অশেষ রাজমণ্ডলীর মুকুটমণির প্রভায় আলোকিত হইয়াছিল, তাহা কখনও নির্ম্মাদার দক্ষিণতীর স্পর্শ কয়ে নাই। বার বার পরাজিত হইয়া হৰ্ষবর্ত্তন অবশেষে নর্ম্মদাতীর হইতে প্রত্যাবর্তন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । " ত্রয়োদশ বর্ঘকাল চালুক্যরাজ আত্মরক্ষার্থ নির্ম্মদাতটরক্ষা করিয়াছিলেন। হর্ষবৰ্দ্ধন যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন নদীর উভয় কুলে বৃহৎ সেনানিবাস স্থাপিত ছিল। হর্যোয় দাক্ষিণাত্য বিজয়ের আশা উন্মলিত হইল, পুলকেশী দক্ষিণাপথের শত শত স্থানে দ্বীয় বিজয়কাহিনী ও উত্তরাপথ-সম্রাটের পরাজয় লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন । দাক্ষিণাত্য অভিযানের ফলে আটবিক কোশলে ঘোর