পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যাবর্ত । ৩য় বর্ষ-১ম সংখ্যা । . خوه পাঠান্তে আমার মুখেরদিকে, চাহিয়া তিনি বলিলেন “কেমন, ‘মেঘনাদের’ চেয়ে “কুরুক্ষেত্রের’ আরম্ভ grand হয় নাই কি ?” বাস্তবিকই “কুরুক্ষেত্রের” আরম্ভশ্লোকগুলি বেশ গভীর্যপূর্ণ বলিয়াই বোধ হইল। আমি দুই দিক রক্ষা করিয়া উত্তর করিলাম, “ই, এরূপ বর্ণনা আর কোনও কাব্যে দেখি নাই।” এই স্থানে একটি কথা বলিয়া রাখি। নবীন বাবুর পাঠভঙ্গী আমার , কাণে একটু বিসদৃশ লাগিতা। বােধ হয়, তাহার কারণ, উচ্চারণে তিনি "་རི། অথচ তিনি হেমবাবুর পাঠনিন্দা করিতেন ! যাউক সে কথা । নবীন বাবু আরম্ভ অংশ ছাড়িয়া দিয়া বলিলেন “কুরুক্ষেত্রের’ পঞ্চদশ সর্গে --যে স্থানে আমি বীরের শোক বর্ণনা করিয়াছি, পড়িতেছি, শুন৷” তিনি উক্ত সর্গের অধিকাংশ পড়িয়া শুনাইলেন ; আমার মতামতের অপেক্ষা না করিয়া। নিজেই বলিতে লাগিলেন, “পৃথিবীর কোন কাব্যে কোন কবি বীরের শোক এমন করিয়া চিত্রিত করেন নাই। বল দেখি, অৰ্জ্জুনের শোকচিত্র বীরের অনুরূপই অঙ্কিত হইয়াছে কি না ।” আমি শেষ কথায় সায় দিয়া বলিলাম, “হঁ। বীরের শোক রমণীসুলভ হা-হুতাশ-ক্রন্দন হইলে চিত্রটি নিশ্চয়ই ব্যর্থ হইত।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “ “কুরুক্ষেত্র’ কত দিনে ছাপা হইবে ?” নবীন বাবু বলিলেন, “আমার একটি ভাগিনেয়। জেদ করিয়া এতদিন ছাপা বন্ধ রাখিয়াছিল। তাহার নিতান্ত ইচ্ছা ছিল, “কুরুক্ষেত্র’ কাব্য নানা কারুকার্য্যে খচিত করিয়া মুদ্রিত করিবে। কিন্তু তাহার অকালমৃত্যুতে সকল আশায় ছাই পড়িয়াছে। অতঃপর ‘কুরুক্ষেত্র’ যেমন তেমন করিয়াই ছাপাইব ।” বলিতে বলিতে নবীন বাবুব দুইটি চক্ষু জলে ভরিয়া আসিল। নবীন বাৰু ভাগিনেয়টিকে পুত্রাধিক স্নেহ করিতেন। তাহার ভাগিনেয়ের স্মৃতি চিরদিন ‘কুরুক্ষেত্রের’ সহিত জড়িত থাকিবে। এমন সময়ে আমাদের আহারের আহবান আসিল। আহারান্তে মধ্যাকু বিশ্রামে কাটিল। অপরাৱে আবার সাহিত্য-কথা। এবার ‘পলাসীর যুদ্ধের” कथl ऐठिंब्ण । 'श्रव्गां*ौ’-धन्रक बदौब বাবু বলিলেন- “পলাসী” পুস্তকাকারে প্রথম আরম্ভ করি নাই। একটি সুদীর্ঘ কবিতার হিসাবে প্রথম লিখিয়াछिद्धांब । তখন আমি যশোহরের ডেপুটী। বয়স বোধ হয়, উনিশ কি কুড়ি তাহার বেশি নহে। “পলাসীর’ এখন যাহা দ্বিতীয় সৰ্গ অর্থাৎ কাটোয়া-বৃটিশ শিবির-তাহাই “পলাসীর’ আরম্ভ ছিল। পরে কয়েক জন সাহিত্যিক বন্ধুর