পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাত্তন, ১৩১৮ । কালী পোদ্দার। v8Ꮈ কালী পোদ্দার। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে কেবলরাম পোদ্দার নামক একজন সুবর্ণবণিক ব্যবসায়বাণিজ্যের সুবিধার আশায়-পৈত্রিক বাসস্থান বৰ্দ্ধমান পরিত্যাগ করিয়া যশোহরের নিকটবর্ত্তী বগাচরে আইসেন। কেবলরামের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না ; কিন্তু ব্যবসায় বুদ্ধি যথেষ্ট ছিল। সুতরাং অতি অল্পদিনের মধ্যেই তিনি ব্যবসায়ে উন্নতিলাভ করিয়া ধনশালী হইয়া উঠিলেন । কেবলরাম অর্থলাভ করিয়া জমীদারী ক্রিয় করিতে ব্যগ্র হইলেন। এই সময় দশশালা বন্দোবস্তের ফলে অনেক প্রাচীন জমীদারের জমীদারী বিক্রয় হইতে থাকে। কেবলরাম এই সুযোগে চাচড়ার রাজাদিগের সম্পত্তি হইতে ইষফপুর ও ইমাদপুর প্রভৃতি কয়েকটি পরগণার কতকাংশ ক্রয় করিলেন। কালীপ্রসাদ এই কেবলরামেরই পুত্র। গুরু প্রসন্ন নামে কালীপ্রসাদের এক সহোদর ছিলেন । সুতরাং কেবলরামের মৃত্যুর পর কালীপ্রসাদ অৰ্দ্ধাংশে সামান্য সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । কিন্তু তিনি সেই সামানুL সম্পত্তির আয় হইতে যে বহুব্যয়সাধ্য সাধারণহিতকর কার্য্য করিয়াছিলেন, গ্রভূত সম্পত্তিশালীর পক্ষে ও তাঁহা করিতে পারিলে वांघांद्र विषभ इझेऊ । কালীপ্রসাদের সর্বপ্রধান কীর্ত্তি তাহার নির্ম্মিত বগাচর হইতে চাকদহ পর্য্যস্ত বিস্তৃত একটি সুপ্রশস্ত রাজবন্ধু । ইহা ‘কালীপোদারের রাস্তা” নামেই পরিচিত। শুনা যায়, এক সময়ে কালীপ্রসাদের বৃদ্ধ মাতা গঙ্গামানে যাইতে অভিলাষিণী হইয়া পুত্র কালীপ্রসাদকে সে অভিপ্রায় জ্ঞাপন করেন । পুত্র মাতার জন্য পালকী বেহার ও লোকজনের বন্দোবস্ত করিয়া তাহাকে সে সংবাদ দিলেন। পুত্রের কথা শুনিয়া মাতা একটু হাসিয়া বলিলেম—“কালী, আমার ” যাইবার জন্য ত পালকীর বন্দোবস্তু করিলে, কিন্তু আমার পাড়া প্রতিবেশী গরীবদুঃখীর যাইবার কি বন্দোবস্তু করিয়াছ ? তাহারা যে আমার সঙ্গে গঙ্গামানে বাইবে বলিয়া আশা করিয়া আছে। তাহাদিগকে সঙ্গে করিয়া না লইয়া যাইতে পারিলে আমার ত স্নানের ফল হইবে না ।” পুত্র লোকজন বন্দোবস্ত করিয়া রাস্তার কার্য্য আরব্ধ করাইয়া দিলেন। কালীপ্রসাদের অনুষ্ঠিত রান্ত নির্ম্মাণ শেষ হইলে পুত্রগৌরবে গৌরবান্বিত জননী সেই রাস্তা দিয়া পাড়াপ্রতিবেশী গরীব দুঃখী দিগকে সঙ্গে লইয়া মহানন্দে গঙ্গামানু করিয়া আসিলেন। yr