পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইয়াছি । তুমি আমার সনাতনী প্রতিমা প্রাপ্ত হইবে । নিশা বসানে সাগরতীরে জলে স্থলে কুলােলখী এক মহা বৃক্ষ দেখিতে পাইবে। একাকী পর্যন্ত হন্তে তথায় যাইবে এবং সেই বৃক্ষে আমার প্রতিমা নির্ম্মাণ করিবে।” রাজা সেই বৃক্ষচ্ছেদন আরম্ভ করিয়াছেন, এমন সময় বিষ্ণু বিশ্বকর্ম্মাকে লইয়া তথায় উপনীত লইলেন এবং পরিশেষে ৰিশ্বকর্ম্মার দ্বারা ত্রিমূর্ত্তি নির্ম্মিত হইল। ( ১ ) পদ্মপত্রায়ত নয়ন শঙ্খচক্রগদাধর নীলজীমুতসন্নিভ ও দিব্য হরি মূর্ত্তি ( ২ ) শারদেন্দুসমাপ্রভ নীলাম্বর মহাবল অনন্তমূর্ত্তি (৩) স্বর্ণবর্ণািভ হারকেয়ূরভূষিতা সুভদ্রা মূর্ত্তি। ইন্দ্রদুম সরোবরের দক্ষিণে নৈঋত কোণে মণ্ডপের উপরে রাজার নির্ম্মিত মন্দিরে মূর্ত্তিত্রয় স্থাপিত করিবার নিমিত্ত স্বয়ং বিষ্ণু আদেশ দিয়া গেলেন। মহা মহোৎসবে রথে করিয়া মূর্ত্তিািত্রয় প্রাসাদে প্রতিষ্ঠিত হইল। ইতি। উৎকল খণ্ডের বর্ণনার সহিত ইহার তুলনা করিলে বলিতে হইবে, উৎকল খণ্ড পরবত্তী কালে লিখিত। অন্যান্য পুরাণে ( কুর্ম্ম, পদ্ম, মৎস্য, বরাহ ইত্যাদিতে) উৎকল খণ্ডে প্রতিপাদ্য ক্ষেত্র-মাহাত্ম্য বর্ণিত হইয়াছে। পরবত্তী কপিল সংহিতা, নীলাদ্রিমহোদয় প্রভৃতি সংস্কৃত গ্রন্থের বর্ণনা বিস্তারিত বলিয়া তাহা দেশীয় পণ্ডিতের রচনা বলিয়া অনুমিত হয় । মন্দিরে রক্ষিত মাদল পঞ্জীতে জগন্নাথের ইতিহাস লিখিত আছে । উড়িয়া ভাষায় মাগুনিয়া দাসের ক্ষেত্র পুরাণ ও শিশুরামের দারুব্রহ্ম নামক পুস্তকদ্বয়ে উৎকলে প্রচলিত প্রবাদযোগে রূপান্তরিত হইয়া জগন্নাথের প্রতিষ্ঠাব্যাপারও জগন্নাথদেবের মত নবী কলেবর ধারণ করিয়াছে। বারান্তরে ঐ সমস্ত বর্ণনার সারা সংগ্রহ করা যাইবে । শ্রীজগন্নাথ নীল মাধবরূপে পূর্বে শবরের পূজিত ছিলেন, ইন্দ্রদ্যুমের আগমনের অবহিত পুর্বে সমুদ্রমধ্যে গুপ্ত হইয়াছিলেন, শেষে ইঙ্গদুহাম যজ্ঞান্তে দারুব্রহ্মরূপে জগন্নাথের প্রতিষ্ঠা করেন । এই সমস্ত উল্লেখে অনুমিত হয় যে, আর্য্যগণের মধ্যে যাহারা প্রথমে উৎকলে পদাৰ্পণ করেন, তাহারা প্রাচীন অধিবাসী শবরদলকে অনুগত করিবার অভিলাষে, তাহাদের স্থাপিত মূর্ত্তির অনুকরণে দারুমুক্তির পূজাই প্রচলিত করিয়াছিলেন। তখন আঁহাদের যজ্ঞের মহাবেদীই পুণ্যতীর্থ বলিয়াই গণ্য হইয়াছিল ( মহাভারতের* বেদীর উল্লেখ পুরাণের উক্তির সহিত মিলাইয়া দ্রষ্টব্য) ; এখনও ব্রাহ্মণ পণ্ডিত- “ ৱৰ্গ ঐ মহাবেদীকেই পুণ্যময় সিদ্ধপীঠ জ্ঞান করেন ; ঠাকুর মহাবেদীতে না । থাকিলে “মহা প্রসাদ” ই হয় না। উৎকল খণ্ডে রথোৎসবকে মহাবেদীর উৎসব বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে। দারুব্রহ্মপ্রতিষ্টার বিষয়টিই অথর্ববেদের ゲ