পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। २१ बद-४ गtथी। যখন পিতামাতা আদর করিয়া রুদ্রেশ্বর নাম রাখিয়াছিলেন, তখন কি ? তাহারা জানিতেন, পুত্রের স্বভাবটিও রুদ্র হইবে ? রূদ্রেশ্বর পিতামাতার একমাত্র সন্তান, ঠাকুরমা’’র এক নাতি, পিসিমা’র এক ভাইপো । সুতরাং: কেহই তাহাকে কিছু বলিত না। কত ঠাকুরের দ্বার ধরিয়া, কত দেবতার পায়ে মাথা খুঁড়িয়া। তবে তাহারা রুদ্রকে পাইয়াছেন। হইল বা সে একটু বেশী আবদারে, তাহাতে ক্ষতি কি ? তাহার আবদার পূরণ করিয়া, তাহাকে মিষ্টবাক্যে তুষ্ট করিয়া তাহার মুখখানি হাসিপুর্ণ দেখিলে তঁহাদের যে আনন্দ হয়, লোকের একটা রাজ্য প্রাপ্তিতে বোধ হয় তত আনন্দ a R এত আদরেও কিন্তু রুদ্রেশ্বর অপব্যয়ী হয় নাই । বাল্যকাল হইতেই সে হাতে যথেষ্ট পয়সা পাইয়াছে, সে সকল পয়সা সে বন্ধুবান্ধবদিগকে খাওয়ান, চান্দা দেওয়া, ঘুড়ি-লাটাই কেনা ইত্যাদিতে ব্যয় করিয়াছে ; কখনও মন্দ কাযে। ব্যয় করে নাই। সেকেণ্ডক্লাস অবধি পড়িয়া সে পড়া ছাড়িয়া দিল। পিতা দুই একবার তাহাকে স্কুলে যাইতে বলিলেন, তাহার মত হইল না। সে বলিল, “আমার চাকরী করে দিন, আমি পড়বে না।” চাকরীর বাজার যে কিরূপ তাহা পিতা জানিতেন। লোক পাশ দিয়াই ঘুরিয়া বেড়ায়, তা সে সেকেণ্ডক্লাস অবধি পড়িয়া চাকরী করিবে ! মুরুবি বা বিদ্য-দুইটার একটা না হইলে যে চাকরী পাওয়া দুষ্কর, সেটা তাহার বুঝিবার * দরকার হয় নাই। সে জানে, যখন যাহা চাহিয়াছি পাইয়াছি ; এখন চাকরী চাহিতেছি।-অবশ্য পাইব । প্রত্যহ স্কুল আর স্কুল-এটা তাহার বড় বিরক্তিকর মনে হইল। চাকরী যে চােরের বেড়ী, স্কুলের অপেক্ষাও বিরক্তিকর সেটা তাহার মাথায় আইসে নাই। পিতাও বুঝিলেন, যখন সে পড়িব না।” : বলিয়াছে তখন 'ই' করান বড় কঠিন ব্যাপার। নাই পড়ুনুক-নাই চাকরী জুটুক তাহার যাহা আছে বুঝিয়া চলিলে তাহাতে জীবন সুখে কাটিয়া বাইবে।” এই ভাবিয়া তিনি আর কিছু বলিলেন না। . gD D DBS DBSDBD BDD BBS D BB BB DBDD KKEEE